বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৭ জুন, এই দিনটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। তবে সকলের আশা ভঙ্গ হয়েছে। সময়সীমা শেষ হলেও পঞ্চম পে কমিশনের বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) ২৫% দেয়নি রাজ্য সরকার। উল্টে আরও ৬ মাস সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। এদিকে সময়মতো মেলায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টে।

ডিএ ইস্যুতে জুড়ল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার প্রসঙ্গ | Dearness Allowance
অবমাননার মামলাটি লড়বেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফে এই আদালত অবমাননার মামলাটি করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্য (West Bengal Government) আর্থিক সংকটের কথা বলে আদালতে জানায়, বকেয়া মহার্ঘভাতার অংশ রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই। তাই সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ৬ মাস আরও অতিরিক্ত সময় চায় সরকার।
রাজ্যের যুক্তি, পাল্টা দাবি সরকারি কর্মীদের
এরই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অযোগ্যদের থেকে ফেরত নেওয়ার জন্য যে নির্দেশ দিয়েছিল তা রাজ্য কার্যকর করেনি। সরকার সেই বেতন ফেরত নিচ্ছে না। সেই বেতন ফেরত নিলেও অর্থ সংকট কিছুটা মিটতে পারে।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মত অযোগ্য শিক্ষকদের বেতন ফেরত না নিয়েও রাজ্য আদালত অবমাননাই করছে বলে মন্তব্য সরকারি কর্মীদের। উল্লেখ্য রাজ্য সরকার ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনেই ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ছয় মাস সময় দরকার বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর সেই দিন কলেজে কী করেছিলেন মনোজিৎ? CCTV রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ঘুরে গেল খেলা
রাজ্য তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে বকেয়া ডিএ মেটাতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই। আদালতে রাজ্যের আরও আবেদন, যেহেতু নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হচ্ছে, সেই কারণে প্রদেয় অর্থ আদালতের কাছে জমা রাখা হোক। কারণ একবার কর্মচারীদের এই অর্থ দিয়ে দেওয়া হলে পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজ্যের পক্ষে গেলেও টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।