Ekchokho.com 🇮🇳

স্কুলে হিন্দু ছাত্রদের পড়ানো হচ্ছে কলমা! ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হইচই, কী জানাল কর্তৃপক্ষ?

Published on:

Published on:

Kalma Controversy in Kota School investigation started

বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্কুলে হিন্দু পড়ুয়াদের কলমা (Kalma Controversy) পড়ানোর ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজস্থানের একটি স্কুলের ভিডিও সমাজ মাধ্যমের ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটা শহরের বক্সী স্প্রিংডেলস স্কুলে (Bakshi Sprindales School)। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে স্কুলে হিন্দু পড়ুয়াদের অ্যাসেম্বলিতে ইসলাম ধর্মের বিশেষ বাণী কলমা পড়ানো হচ্ছে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

কি দেখা গিয়েছে ভাইরাল ওই ভিডিওতে (Kalma Controversy)?

সূত্রের খবর, রাজস্থানের কোটা (Kota) শহরের বক্সী স্প্রিংডেলস স্কুলে (Bakshi Sprindales School) সকালের অ্যাসেম্বলিতে পড়ুয়াদের দিয়ে কলমা (Kalma)পড়ানো হচ্ছিল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে।অভিযোগকারীদের বক্তব্য, ওই স্কুলের হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের ‘কলমা’ পড়িয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়াও, ধর্মীয় আচরণ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান অভিযোগকারীরা।

এই বিতর্কের জেরে ওই স্কুলের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, স্কুলে বিগত তিন দশক ধরে ‘সব ধর্ম প্রার্থনা’র’ চর্চা চলে আসছে। সেই প্রথাকে মেনেই, প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন ধর্মের প্রার্থনা আবৃত্তি করা হয়। স্কুলের ডিরেক্টর আরও জানান হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ প্রমূখ সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব থাকে। (ভিডিওটি সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট)

Kalma Controversy in Kota School investigation started

আরও পড়ুন: মোক্ষম ঝটকা খেল পাকিস্তান! পড়শি দেশ থেকে মুখ ফেরাল বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থা, কর্মহীন বিপুল মানুষ

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির প্রসঙ্গে জেলার শিক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন,“আমরা ভিডিও পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তথ্য যাচাই চলছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এই বিষয়ে তিনি আরও জানান, যেহেতু স্কুলটি CBSE-র অন্তর্গত, তাই পুরো রিপোর্ট বোর্ডের কাছেও পাঠানো হবে। যদিও কর্তৃপক্ষের এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। তারা দাবি করেছে, ধর্মীয় মতামত ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা অন্যায়, এতে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে। পাশাপাশি তারা সতর্ক করে দিয়েছে, যদি প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে।