বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali violence) তিন বিজেপি কর্মী খুন হন। বছর পেরিয়ে গিয়েছে অনেক, কিন্তু পরিবারগুলোর দাবি—ন্যায় মেলেনি। অবশেষে হাই কোর্টের নির্দেশে সেই খুনের তদন্তভার নিল (CBI)। আর তদন্তে ফের উঠে এল বহুল বিতর্কিত নাম—শাহজাহান শেখ (Shahjahan Sheikh)। এখন তিনি তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড (Suspended TMC leader)। নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে (Sandeshkhali case)।
চার্জশিট থেকে নাম বাদ, ফের উঠল সেই ‘ভূত’
২০১৯ সালের ৮ জুন সন্দেশখালির (Sandeshkhali violence) তিন বিজেপি কর্মী—প্রদীপ, দেবদাস ও সুকান্ত মণ্ডল খুন হন। প্রথম চার্জশিটে শাহজাহানের নাম থাকলেও, সিআইডি তদন্তভার নেওয়ার পরে তা ‘উধাও’ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিবারগুলোর দাবি, রাজনৈতিক চাপেই এই ‘কৌশল’। কিন্তু এবার সিবিআই ফের তাঁকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হাই কোর্ট বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশে গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)।
‘রেশন কাণ্ডের’ পর ক্ষোভে ফুটছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali violence)
২০২৪ সালের শুরুতেই রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি এবং আধাসেনা কর্মীরা। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাতেই ফের মাথাচাড়া দেয় পুরনো ক্ষোভ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কৃষিজমি জবরদখল, মাছের ভেড়ি তৈরি এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান। অভিযোগ, ওই জমির কোনও লিজ় মানি না দিয়েই তাঁরা ব্যবসা চালাতেন (Land Grabbing, Extortion)। বিজেপি-সহ একাধিক বিরোধী দল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত! OBC সংরক্ষণ নিয়ে কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
তৃণমূল ‘বাতিল’ করলেও তদন্তে তাপ বাড়াচ্ছে শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)
শাহজাহান এখন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড, কিন্তু সন্দেশখালির বিভিন্ন পুরনো মামলায় তাঁর নাম বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের মতে, “শাহজাহান শুধু রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ছিলেন না, স্থানীয় প্রশাসনের মদতেও বারবার বাঁচেন।” সিবিআই এবার যে এফআইআর দায়ের করেছে, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ নষ্ট করার একাধিক ধারা যোগ হয়েছে (Murder Conspiracy, Evidence Tampering)।
প্রশ্ন উঠছে—এত বছর পরে সিবিআই কেন নাম লেখাল শাহজাহানের বিরুদ্ধে? তাহলে কি প্রাথমিক তদন্তে তথ্য লুকোনো হয়েছিল? নাকি রাজনৈতিক চাপ কাটতেই উঠে আসছে পুরনো নামগুলো? এখন দেখার, সিবিআইয়ের এই নতুন পদক্ষেপ কোথায় গিয়ে থামে। নিহত পরিবারদের দাবি, “এটা লড়াই শুরু মাত্র।”