বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি বছরেই ভারতের মুকুটে জুড়েছে নয়া পালক। দ্বিতীয়বার ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩-কে সফল ভাবে চাঁদে পাঠিয়ে ইতিহাস তৈরী করেছে ভারত (Bharat)। এই চন্দ্রযান-৩ মিশনের জন্য দেশের মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এই খরচ নিয়েও বিরোধীদের কটাক্ষের শেষ ছিল না। আর এবার সামনে এল এক অবাক করা তথ্য। যা জানলে আপনিও থ হয়ে যাবেন।
জানা গিয়েছে, স্রেফ পুরনো অকেজো ফাইল, অফিসের জিনিসপত্র, গাড়ি বিক্রি (Govt sells scrap) করেই অনায়াসে চন্দ্রযান-২ মিশনের মতো দু’টি মিশনের ব্যয় তুলে নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা কেউ নই, এই তথ্য দিচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যান। ২০২১ সাল থেকে পুরনো ও অকেজো জিনিসপত্র বিক্রি করে প্রায় ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে মোদী সরকারের।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে অক্টোবর থেকে সরকারি দফতরের পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করে মোদী সরকারের ঝুলিতে এসেছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। অবিশ্বাস হলেও এটাই সত্যি। জানা গিয়েছে বছরের পর বছর জমে থাকা অকেজো ফাইল, জঞ্জাল হটানোর চাপ দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই। তারপরই কাজে নামে প্রশাসনিক সংস্কার এবং জন অভিযোগ দফতর (ডিএআরপিজি)।
আরও পড়ুন: SSC থেকে পার্থর টেবিলেও গিয়েছিল ‘সেই’ ফাইল, যা চেয়েও পাচ্ছেনা CBI, কি এমন ফাঁস হবে তাতে?
২০২১ সাল থেকে পুরনো অকেজো জিনিসপত্র বিক্রি যে পরিমাণ টাকা লক্ষীলাভ হয়েছে তার মধ্যে চলতি বছর অক্টোবরে এক মাসব্যাপী প্রচার চালিয়েই ৫৫৭ কোটি টাকার পুরনো জিনিস বিক্রি করেছে মোদী সরকার। এতে যে শুধুমাত্র সরকারি কোষাগার ভরেছে তেমনটা নয়। সরকারি দফতরগুলিতে বিরাট পরিমাণ জায়গা খালি হয়েছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ এ পুরনো ফাইল, জিনিসপত্র বিক্রির ফলে আয় হয়েছে ৫৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বাধিক আয় হয়েছে রেল মন্ত্রক থেকে। যার পরিমাণ ২২৫ কোটি টাকা। এরপরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, আয় হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। জানা যাচ্ছে এবার থেকে নিয়মমাফিক সরকারি দফতরগুলিতে এই ‘স্বচ্ছতা অভিযান’ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে তিন ঘণ্টা সময় এর জন্য আলাদা করে বরাদ্দ করা থাকবে।