বাংলা হান্ট ডেস্ক: করোনার (Corona) মতো ভয়াবহ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে পড়শি দেশ চিনের (China) অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমশ খারাপ খবর সামনে এসেছে। সেই রেশ বজায় রেখেই নতুন বছরের শুরুতেও আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মূলত, যে চিনকে বিশ্বের কারখানা বলা হয় সেই চিনেই কাজের গতি এখন অনেকটাই শ্লথ হয়েছে।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত ডিসেম্বর মাসে চিনের ম্যানুফাকচারিং অ্যাক্টিভিটিজ অনেকটাই কমে গেছে। এর পাশাপাশি চিনের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এখনও মন্থর অবস্থায় রয়েছে। চিনের কারখানার ম্যানেজারদের এক সার্ভেতে এই তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে গত রবিবার চিনের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ম্যানুফ্যাকচারিং PMI (Purchasing Managers’ Index) গত ডিসেম্বরে ৪৯-এ নেমে এসেছে।
৯ মাসে ৮ বার পতন হয়েছে: এদিকে, আধিকারিকরা মনে করছেন যে, এটি মন্থর চাহিদার লক্ষণ। সূচকে ১০০-র মধ্যে ৫০-এর নিচে থাকা পরিসংখ্যান ম্যানুফাকচারিং অ্যাক্টিভিটিজে সংকোচনের বিষয়টিকে নির্দেশ করে। যেখানে ৫০-এর ওপরে থাকা পরিসংখ্যান সম্প্রসারণকে নির্দেশ করে। গত ৯ মাসে ৮ বার এই সূচক কমেছে। শুধু গত সেপ্টেম্বর মাসেই এটি বেড়েছিল। এদিকে, নভেম্বরে এটি ছিল ৪৯.৪ এবং অক্টোবরে ছিল ৪৯.৫।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে ইতিহাস গড়ল ISRO! লঞ্চ হল XPoSat স্যাটেলাইট, কাজ জানলে হয়ে যাবেন “থ”
কি জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট: বিশ্বব্যাপী করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর পরে দীর্ঘকাল ধরে দুর্বল থাকা চিনের অর্থনীতি বার্ষিক প্রায় ৫.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এদিকে, সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাঁর নতুন বছরের ভাষণে বলেছেন, দেশের অর্থনীতি আগের চেয়ে অনেক বেশি নমনীয় ও গতিশীল হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে বড় “উপহার” পেল এই দেশ! খোঁজ মিলল বিশাল সোনার ভাণ্ডারের
পাশাপাশি, তিনি আরও জানান বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় সুদের হার বাড়ানোয় উৎপাদিত পণ্যের বিশ্বব্যাপী চাহিদার ওপর প্রভাব পড়েছে। এদিকে, ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স অনুসারে, ডিসেম্বরে চিনের অ-উৎপাদনকারী PMI বেড়ে ৫০.৪-এ দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, সার্ভিস সেক্টরের PMI উপ-সূচক ছিল ৪৯.৩।