বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) অংশ মেটায়নি রাজ্য সরকার। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও পঞ্চম পে কমিশনের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দেয়নি রাজ্য। এই নিয়ে যখন ক্রমাগত ক্ষোভ বাড়ছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। ‘হকের’ মহার্ঘ ভাতার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি। এরই মধ্যে পেনশনারদের মহার্ঘ রিলিফ (Dearness Relief) অর্থাৎ ডিআর (DR) নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
পেনশনভোগীদের DR নিয়ে বিভ্রান্তি দূর
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মলয়বাবু ডিএ এবং ডিআর-এর মধ্যে পার্থক্য এবং পেনশনারদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারে আলোচনা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের নেতা জানান, DA এবং DR এর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো গণনার পদ্ধতিতে। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মীরা চাকরিরত অবস্থায় যা পান, তা মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ। আর অবসরের পর পেনশনাররা যা পান, তা মহার্ঘ রিলিফ বা ডিআর।
চাকরিরত অবস্থায় একজন কর্মী যা মূল বেতন পান, অবসরের পর তা অর্ধেক হয়ে যায়। কোনও কর্মচারীর ডিএ নির্ধারণ হয় মূল বেতনের উপর। আর পেনশনারদের DR তাদের অর্ধেক হয়ে যাওয়া মূল বেতনের উপর নির্ধারিত হয়। সেখানেই চাকরিরত কর্মী এবং পেনশনারদের মধ্যে পার্থক্য।
আরও পড়ুন: ফের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, সোমে কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
চাকরিরত কর্মীদের মূল বেতন প্রতি বছর ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেলে তাদের মহার্ঘ ভাতার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পেনশনারদের ক্ষেত্রে মূল পেনশন যেহেতু নির্দিষ্ট থাকে, তাই তাদের ডিআর-ও তার উপরই গণনা করা হয়। এখানেই পার্থক্য উঠে আসে। মলয়বাবুর বিশ্লেষণ থেকে যে বিষয় স্পষ্ট তা হল, রাজ্য সরকারি কর্মীরা যে হারে ডিএ পাবেন, পেনশনাররাও সমহারেই ডিআর পাবেন। তবে, মূল বেতনে পার্থক্য থাকায় অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে রিলিফের পরিমাণও তুলনামূলকভাবে কম হবে।