বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেও মিষ্টি ‘ম্যাংগো কূটনীতি’। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস (Md Yunus) পাঠালেন হাঁড়িভাঙা আম (Mango)। দিল্লি ও কলকাতা ছাড়াও পৌঁছচ্ছে ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছেও। কিন্তু যখন দুই দেশের সম্পর্কে জাঁকিয়ে বসেছে ঠান্ডা, তখন এই কূটনৈতিক মিষ্টতা কতটা সফল হবে, উঠছে সেই প্রশ্ন।
মিঠা হাঁড়িভাঙা দিয়ে কূটনৈতিক বার্তা
রংপুরের তেকানী গ্রামের মাঠ থেকে শুরু আমের যাত্রা। এক হাজার কেজি হাঁড়িভাঙা আম ঢাকার বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। সোমবার পৌঁছনোর কথা রাজধানীতে। আর মঙ্গলবারেই পৌঁছতে পারে কলকাতায় (Kolkata)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও আম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা (Md Yunus) । শুধু বাংলা নয়, সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছেও এই উপহার।
উল্লেখযোগ্য, এই হাঁড়িভাঙা আমের (Mango) পিছনে আছে এক ব্যতিক্রমী কাহিনি। চাষি নফল উদ্দিন গাছে জল দিতেন মাটির হাঁড়ি ঝুলিয়ে, হঠাৎ সেই হাঁড়ি কেউ ভেঙে দিলে ফলন হয়েছিল বিস্ময়কর। সেখান থেকেই নামকরণ—‘হাঁড়িভাঙা’।
শেখ হাসিনার আমলে প্রতি বছরই চলত এই ‘আম-ইলিশ কূটনীতি’ (Mango and Hilsa diplomacy)। কিন্তু এবার ক্ষমতায় নেই হাসিনা, সম্পর্কের পারদও বেশ নিচু। এমন অবস্থায় ইউনুস (Md Yunus) কেন এই বার্তা পাঠালেন, সেই প্রশ্ন ঘুরছে কূটনৈতিক মহলে। কেউ বলছেন, দিল্লিকে খুশি করে আবার সম্পর্ক মেরামতির চেষ্টা। কেউ আবার বলছেন, ‘ঠেলার নাম বাবাজি’—মার্কিন শুল্ক চাপ আর আমদানি নিষেধাজ্ঞার ধাক্কায় ভারতমুখী চেষ্টা।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে নিয়োগে নতুন টুইস্ট! মামলা শুরুর আগেই খুলল SSC-র পোর্টাল
চাপে বাংলাদেশ, কূটনীতি ভরসা
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রপ্তানির উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক (Duty) বসিয়েছেন। অন্যদিকে নয়াদিল্লিও কিছু বাংলাদেশি পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা (Import restrictions) জারি করেছে। এই চাপে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন করে গড়ে তুলতে মরিয়া ঢাকাই। এই পরিস্থিতিতে হাজার কেজি আমে সফট ডিপ্লোম্যাসি (Soft diplomacy) ফের চালু করল বাংলাদেশ।