বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছরের প্রথম দিনেই বড়সড় বিপাকে পর্যটকরা। বছরের প্রথম দিনটায় অনেকেই বাঘ দেখার আশায় সুন্দরবনে (Sundarbans) গিয়েছিলেন। তবে বাঘ দেখা তো দূরের কথা পর্যটকদের একটা বড় অংশ তো সজনেখালি, সুধন্যখালি, নেতিধোপানির মতো পরিচিত পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেই পৌঁছাতে পারলেননা। এমনকি প্রায় ১ হাজারেরও বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন সুন্দরবনের আনাচে কানাচে।
আসলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় করেছেন সুন্দরবনে। সেখানে গিয়ে রীতিমত হয়রানির শিকার হতে হল তাদের। বেড়াতে গিয়ে এই ‘হেনস্থা’য় পযর্টকদের একাংশ বেশ ক্ষুব্ধ। বোট মালিকদের সঙ্গে রীতিমত তর্ক বিতর্কেও জড়িয়েছেন অনেকেই। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই বেহাল অবস্থা দেখে বেশ হতবাক সাধারণ মানুষ।
সূত্রের খবর, সুন্দরবন ট্যুরিস্ট বোট অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে সোমবার সকাল থেকে সমস্ত জলযান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তরফ থেকে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে সুন্দরবনের বোটগুলিকে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দেওয়া হয়। এই সার্টিফিকেটের উপর ভিত্তি করেই বোটগুলিকে নদীতে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এবছর প্রায় একশো’টিরও বেশি বোটের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে গত ৩১ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন : আটকে রেলের বহু প্রকল্প! সায় নেয় রাজ্যের, মমতাকে নিশানা বৈষ্ণবের
যে কারণে বন দফতরের তরফ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বোট কর্তৃপক্ষদের। তারপর থেকেই চলছে বিক্ষোভ। ঘটনাপ্রসঙ্গে জেলা সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি বিশাল বলেন, ‘কিছু বোট-মালিক ঠিক সময়ে কাগজপত্রই জমা দেননি। সেই কারণেই বোটের কাগজপত্র আটকে রয়েছে। সেগুলি দেখে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। এদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, ডিসেম্বর মাসে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন করে এই অনুমতিপত্র দেওয়া হয় জেলা পরিষদ থেকে।
আরও পড়ুন : ৪টে মাস্টার ডিগ্রি, সঙ্গে পিএইচডি করেও মেলেনি যোগ্য সম্মান! চাকরি ছেড়ে সবজি ফেরি করছেন যুবক
ঘটনাপ্রসঙ্গে সুন্দরবন ট্যুরিস্ট বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল সর্দার জানিয়েছেন, ‘জেলা পরিষদ যদি সপ্তাহে দু’দিনের পরিবর্তে সময়টা বাড়াত তা হলে এই সমস্যা হত না। ১২ ডিসেম্বর আবেদনপত্র জমা দিয়েও অনুমতি মেলেনি। পর্যটকদের কাছে আমাদের মানসম্মান গেল। তারাও বিপাকে পড়লেন।’ বোট মালিকদের দাবি, বনদফতরের তরফ থেকে দু একদিনের অনুমতি দিলেও সমস্যা মিটে যেত।