বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বজ্রপাতে পুড়ে গেল দীঘার জগন্নাথ কালচারাল সেন্টারে মহাপ্রভুর ভাস্কর্যে থাকা ধ্বজ। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। এই নিয়ে ফেসবুক পোস্টে কড়া ভাষায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, ধর্মীয় আচার লঙ্ঘন করে রাজনীতি ও অহংকার চরিতার্থ করতে মহাপ্রভুকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বজ্রপাত নয়, এর নেপথ্যে ঈশ্বরের অসন্তোষই ইঙ্গিত করছেন তিনি।
রাজনীতির জন্য ধর্মের অপমান! তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, “ধর্ম নিয়ে ছেলেখেলা মহাপ্রভু ভালোভাবে নেননি।” তিনি দাবি করেন, ভাস্কর্যে ধ্বজা পুড়ে যাওয়া নিছক প্রাকৃতিক ঘটনা নয়। বরং, ধর্মীয় নিয়ম লঙ্ঘনের ফল এটা। তাঁর অভিযোগ, বিধর্মীদের প্রবেশ, আমিষ ভক্ষণ, শাস্ত্র না মেনে পূজা, এই সব কিছুই ধর্মের অপবিত্রতা ঘটিয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “চখা আঁখি সবু দেখুচি”, অর্থাৎ সবই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কে কী করছে, কে কী লুকোচ্ছে। তৃণমূলের কোনও নেতার অহংবোধ মেটাতে মহাপ্রভুকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। এটা শুধু ধর্মের অপমান নয়, বাংলা সংস্কৃতিরও লঙ্ঘন বলে দাবি তাঁর (Suvendu Adhikari)।
বজ্রপাত না বার্তা? প্রশ্নে রাজনৈতিক বারুদ
এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তৈরি হয়েছে তীব্র আলোড়ন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য ঘিরে সরগরম রাজনীতি। অনেকেই বলছেন, ভিডিও ফুটেজ বা প্রমাণ থাকলে ঘটনাটি আরও বড় বিতর্ক তৈরি করতে পারে। এর পেছনে “ঈশ্বরের বার্তা” রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর সভায় ডাক পেলেন দিলীপ, উপস্থিত থাকবেন কি তিনি?
ঘটনার নেপথ্যে রাজনীতির ছায়া কতটা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পোস্টে স্পষ্ট ইঙ্গিত, ধর্মকে ব্যবহার করে কোনও ‘শাসকের’ নিজের প্রচার নয়, বরং ঈশ্বরই এবার নিজের উপায়ে প্রতিবাদ করছেন।