বাংলা হান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিল্লির (Delhi) বিধায়ক আমানতুল্লা খানের (Amanatullah Khan) প্রায় চার পাঁচটি আস্তানায় ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement directorate)। আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, আর্থিক তছরুপের পাশাপাশি দিল্লি (Delhi) ওয়াকফ বোর্ডের জন্য কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ইডির সমন পৌঁছেছে ওখলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আমানতুল্লার বাড়িতে। প্রায় একবছর আগে ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আপ বিধায়ক। এরপর চলতি বছরের অক্টোবরে এরকমই এক মঙ্গলবারে ইডির অফিসাররা পৌঁছায় আমানুল্লার বাড়িতে। আর এবার ফের একবার তল্লাশির মুখে পড়লেন তিনি।
সূত্রের খবর, নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন সকালেই আমানুল্লার বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডির আধিকারিকরা। শুরু হয় খানাতল্লাশি। আর্থিক তছরুপের অভিযোগের পাশাপাশি একাধিক পদে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শোনা যাচ্ছে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল আমানতুল্লার বাড়ি এবং বাড়ি সংলগ্ন গোটা এলাকা। এইদিন ইডির সাথে উপস্থিত ছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীও।
আরও পড়ুন : ISRO-র আগে রকেট পাঠিয়েছিল পাকিস্তান, ভারতের আগে থেকেও এই চার ভুলে ভেঙে যায় পড়শি দেশের স্বপ্ন
মিডিয়া বলছে, প্রায় চার-পাঁচটি প্রাঙ্গণে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালিয়েছেন। গত নভেম্বরে এই মামলায় তার তিন কথিত সহযোগীকেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওখলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আমানুল্লা দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান। এবং তার এই পদকে কাজে লাগিয়ে ওয়াকফ বোর্ডের তহবিল তছরুপ, বেআইনিভাবে সম্পত্তি লিজ দেওয়া এবং বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এইসমস্ত অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই গত বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন : ‘চন্দ্রযান ৩’র পর মিশন ‘ব্ল্যাকহোল’! ইসরোর নয়া অভিযানের রূপকার এই বাঙালি বিজ্ঞানী, চেনেন তাঁকে?
তবে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক লড়াইয়ের মোকাবিলা করতে না পেরেই তদন্তকারী সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করছে কেন্দ্র। ঘটনাপ্রসঙ্গে ইডি জানিয়েছে, ‘উক্ত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ নগদে অর্জন করেছেন আমানুল্লা এবং এই নগদ অর্থ তার সহযোগীদের নামে দিল্লিতে বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি কেনার জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে।’ যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তার সমর্থকদের দাবি, AAP শেষ করার জন্য এই প্রয়াস। তাদের সাথে মোকাবিলা করতে না পেরেই তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্র।