বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরের শুরুটা খুব একটা খারাপ হলোনা ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির (Gautam Adani)। বছরের একদম প্রথম দিনেই আদানি গ্রুপের (Adani Group) শেয়ারে ভালো বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। যার প্রভাব গৌতম আদানির মোট সম্পদেও দেখা গেছে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুসারে গত সোমবার, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫০০ ধনকুবেরদের মধ্যে সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে গৌতম আদানি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এদিকে, প্রথম স্থানে রয়েছেন চিনের উইলিয়াম ডিং।
অন্যদিকে, ইলন মাস্ক ও ভারতের আরেক ধনকুবের মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ কমেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার ইলন মাস্কের সম্পদ ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি কমেছে। অন্যদিকে, এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ৭৫০ মিলিয়ন ডলার কমেছে।
গৌতম আদানির সম্পদ কত বেড়েছে: বছরের প্রথম দিন চিনের উইলিয়াম ডিং ও গৌতম আদানির সম্পদে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি দেখা গেছে। উল্লেখ্য যে, উইলিয়াম ডিং হলেন বিশ্বের ৫৪ তম ধনী ব্যবসায়ী। যাঁর মোট সম্পদ বেড়েছে ১.১২ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি, বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯.২ বিলিয়ন ডলারে। এদিকে, গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১.১০ বিলিয়ন ডলার। এমতাবস্থায়, আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছে ৮৪.৩ বিলিয়ন ডলারে। বর্তমানে গৌতম আদানি বিশ্বের ১৫ তম ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নতুন বছরেই জারি নয়া নিয়ম! সুনকের ঘোষণায় ব্রিটেনে থাকা ভারতীয়রা পেলেন বড় ঝটকা
মাস্কের সম্পদে সবচেয়ে বড় পতন: অন্যদিকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের ইলন মাস্কের সম্পদে বছরের প্রথম দিনেই সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, ১ জানুয়ারি মাস্কের ৩.৩৬ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২৯ বিলিয়ন ডলারে। পাশাপাশি মার্ক জুকারবার্গ এবং জেফ বেজোসের সম্পদও ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমেছে।
আরও পড়ুন: আর চলবে না টিটিদের “দাদাগিরি”! যাত্রীদের সঠিক সিট দিতে নজর রাখবে AI, বড় পদক্ষেপের পথে রেল
কি অবস্থা ভারতীয় ধনকুবেরদের: ১ জানুয়ারি শাপুর মিস্ত্রির সম্পদের পরিমাণ ৮৭.৪ মিলিয়ন ডলার, আজিম প্রেমজির সম্পদ ১৩৯ মিলিয়ন ডলার, সাবিত্রী জিন্দালের ৪৯.৯ মিলিয়ন ডলার, রাধাকিশান দামানির ৩৭১ মিলিয়ন ডলার, কুমার বিড়লার ১৯১ মিলিয়ন ডলার, সাইরাস পুনাওয়ালার ২৫ মিলিয়ন ডলার, নুসলি ওয়াদিয়ার ৯ মিলিয়ন ডলার এবং মঙ্গল প্রভাতের ৩০৮ মিলিয়ন ডলার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।