বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে বাক্ স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু এই অধিকার সীমাহীন নয়, সোজাসাপ্টা এমনটাই বলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি বিভি নাগরত্না ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নাগরিক অধিকারের দোহাই দিয়ে কেউ যা ইচ্ছা বলতেই পারেন না বা সমাজমাধ্যমে যা খুশি পোস্ট করতেই পারেন না।
মতপ্রকাশে উসকানি চলবে না, বলছে আদালত (Supreme Court)
শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট মন্তব্য, সংবিধানের ১৯ (২) অনুচ্ছেদ (Article 19 (2)) অনুযায়ী মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই কোনও পোস্ট সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট করলে তা সরিয়ে দেওয়া প্রশাসনের কর্তব্য। বিচারপতিদের মতে, এটি সেন্সর নয়, বরং শান্তি রক্ষার দায় পালন।
এই মন্তব্য আসে এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, যেখানে ওয়াজিদ খান নামে এক ব্যক্তি কলকাতার গল্ফগ্রিন থানায় ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতার হন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তিনি পাল্টা এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
বিচারপতিরা বলেন, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সমাজমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করেন, তবে সরকারের উচিত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। প্রশাসনের এই পদক্ষেপ ‘অধিকার হরণ’ নয়, বরং দায়িত্ব পালন।
আরও পড়ুনঃ ৭৫,০০০ টাকার স্কলারশিপ দিচ্ছে কেন্দ্র, কিন্তু কারা পাবেন? জানুন বিস্তারিত
মামলার নিষ্পত্তি হয়নি, তবে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই পর্যবেক্ষণ নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে যে, বাক্ স্বাধীনতা মানেই কি যা খুশি বলার অধিকার? আর প্রশাসনের পদক্ষেপ কি সত্যিই সংবিধানসম্মত? বিতর্ক থাকলেও আদালতের (Supreme Court) রায় কঠোর।