বেহাল রাস্তা ঠিক করতে রাজ্যকে দু’সপ্তাহ দিয়েছিল হাইকোর্ট, পাল্টা ফিরহাদ বললেন, ‘৫-৬ দিনই অনেক’

Published on:

Published on:

firhad hakim(1)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শহর কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা, বেহাল দশা শহরের রাস্তা-ঘাটের। সম্প্রতি রাজ্যের রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। এবার সেই ইসুতেই মুখ খুললেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

হাইকোর্টের নির্দেশে কী বললেন ফিরহাদ? Firhad Hakim

কলকাতার বেহাল রাস্তাগুলি মেরামতির জন্য রাজ্যকে দুই সপ্তাহের কড়া সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফিরহাদ বললেন, “দু’সপ্তাহ সময় দরকার নেই, ৫-৬ দিন ড্রাই পেলেই রাস্তা ঠিক করে ফেলা যাবে। কারণ পিচের সবচেয়ে বড় শত্রু জল।” মেয়রের দাবি, অতিবৃষ্টির কারণেই রাস্তার ক্ষতি হয়েছে।

তবে এখানেই শেষ নয়, হাইকোর্টের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতার মন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্ট খুবই অ্যাক্টিভ। দিল্লি বা আহমেদাবাদের হাইকোর্ট কিন্তু এভাবে বলে না।’ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে মেয়র বলেন, এখন কলকাতায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও দ্রুত জল বেরিয়ে যায়, এটা সরকারের বড় সাফল্য। বিধানসভায় আমরা ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথাও বলেন ফিরহাদ।

ফিরহাদ জানান, কলকাতার সাবার্বান এলাকার পরিস্থিতি, পিডব্লিউডি-কে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে মেয়র বলেন, ”সেন্ট্রাল প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকাও হয় না। বিজেপি শাসিত রাজ্য ছাড়া কেন্দ্র টাকা দেয় না। মোদি যখন উদ্বোধনে আসেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর কথা মনে থাকে না।”

প্রসঙ্গত, কলকাতার তারাতলা এলাকায় একটি রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার ওই মামলা শুনানিতে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে হাইকোর্টের মন্তব্য, “রাস্তা সারাইয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করুন। অনেক কিছুতেই তো টাকা খরচ করছেন। সেখানে শুধু টাকা চলেই যাচ্ছে। সঠিক জায়গায় অর্থ খরচ করুন।” পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, “জেলার রাস্তাগুলির হাল খুবই খারাপ। প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে দেখি জেলায় জেলায় রাস্তা খারাপ। সেই রাস্তা দিয়ে রোগী আনা যায় না।”

আরও পড়ুন: বিশালাকার অজগরের মুখে অসহায় দুই শিশু, তারপরের ঘটনা যা ঘটল… বিশ্বাস হচ্ছে না নেটিজেনদের!

রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের কড়া বার্তা ছিল, “রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করুন। জেলা পরিষদগুলির কাছে এই বার্তা পোঁছে দিন।” বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তারাতলা, বজবজের পুরো এলাকা জুড়ে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এরপরই কড়া নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। না হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করবে। “গোটা রাজ্যের রাস্তার অবস্থা নিয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জনস্বার্থ মামলা করবে।” বলেন বিচারপতি সেন।