বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেলদা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুদেষ্ণা চন্দর জন্ম নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারে। ছোটবেলা কেটেছে গ্রামীণ এলাকায়। অভাব, হাজারো প্রতিবন্ধকতা সুদেষ্ণার ছিল নিত্যসঙ্গী। যখন তার বয়স মাত্র ১৪ সেই সময় যোগ দেওয়া এনসিসিতে। যখন সুদেষ্ণা নবম শ্রেণীর ছাত্রী তখন থেকেই শুরু তার অসম লড়াই।
দিনের পর দিন তার কাটতে থাকে প্যারেড, ক্যাম্পে। এখনো কলেজের পড়া সামলে নানান ধরনের এনসিসির প্রশিক্ষণ চলছে সুদেষ্ণার। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার বাবলপুর এলাকার বাসিন্দা সুদেষ্ণা অংশ নিতে চলেছেন চলতি বছরের ২৬ শে জানুয়ারির প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। দিল্লির রাজপথ দেখবে বাংলার এক অখ্যাত গ্রামের মেয়ের সাহসের লড়াই।
আরোও পড়ুন : হুক্কায় টান দেওয়াই কাল হল ধোনির! ‘ক্যাপ্টেন কুল’কে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখে কটাক্ষ নেটপাড়ায়
সুদেষ্ণা বর্তমানে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন দিল্লিতে। সুদেষ্ণার জন্ম পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার বাবলপুর এলাকায়। বর্তমানে সে কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী। পুলিশে কর্মরত দাদাকে দেখে তার ইচ্ছা জাগে সেনাবাহিনীতে যোগদান করার। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সে যোগদান করে এনসিসিতে।
আরোও পড়ুন : ১ মার্চ থেকে বড়সড় পরিবর্তন GST নিয়মে! এই বদল সম্পর্কে না জানলে পড়বেন বিপদে
তার বাবা বাবলু চন্দ সামান্য চাষবাস করেন। বাবলু বাবুর তিন কন্যা। সুদেষ্ণার দিদির বিয়ে হয়ে গেছে ও তার বোন বর্তমানে স্কুলে পড়ে। সংসারে হাজার অভাব থাকলেও বাবলু বাবু সুদেষ্ণার স্বপ্নপূরণের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনসিসিতে নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমানে দিল্লিতে সুদেষ্ণা প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সুদেষ্ণা জানিয়েছেন, “ডিফেন্স লাইনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল ছোটবেলা থেকেই। সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় যখন নবম শ্রেণীতে পড়ি। বেশ কিছু সিলেকশন রাউন্ডের পর অবশেষে নির্বাচিত হয়েছি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য। আমি গর্বিত অনুভব করছি এর জন্য। আমি শিক্ষক ও অফিসারদের দেখানো পথেই উজ্জ্বল করব আমার জেলার নাম।