বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার এক মামলার শুনানিতে সরকারি স্কুলে পড়াশোনার মান নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না, এই অভিযোগ নিয়ে কানাই চট্টোপাধ্যায় নামক এক প্রাথমিক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল জাস্টিস গাঙ্গুলির এজলাসে।
আদালতে মামলাকারী জানায়, ২০০৮ সালে নিজস্ব প্রয়োজনে তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। যদিও ছুটির বিষয় আগেই তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিললে তার পরই ছুটি নেন। কিন্তু তিন মাস পর ছুটি শেষ হলে তিনি ফের কাজে গেলেও তাকে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি।
এরপর ৬ বছর পর ২০১৪ সালে অবসরগ্রহণ করেন তিনি। তবে তারপর থেকে অবসরকালীন কোনও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না তাকে। মামলাকারী ওই শিক্ষকের অভিযোগ, স্কুল তাকে তার প্রাপ্য সমস্ত সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। এই শুনেই করেন বিচারপতি।
এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি বলেন, “ এসব কী হচ্ছে রাজ্যে? আমাকে আর কিছু বলতে বাধ্য করবেন না। ভগবান বৃদ্ধ হয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না।” এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়েই বিচারপতি বলেন, “এখন আর সরকারি স্কুলে পড়াশোনা ঠিক ভাবে হচ্ছে না। ছিঃ…! আগে ‘জিন্দাবাদ’, ‘জিন্দাবাদ’ করত, এখন অন্য কিছু করে।”
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টা পার! শাহজাহানের টিকির নাগালও পেল না পুলিশ, এবার বিরাট ‘অ্যাকশন’ রাজ্যপালের…
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষের শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে তৃণমূল নেতার অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয় ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। লজ্জাজনক সেই ঘটনায় পর মুখ খোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সেই সময় প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেছিলেন, “যদি তদন্তকারীরা মার খান তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে?” বিচারপতি আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? বন্দুক থাকে না ? চালাতে পারো না? ২ জনকে মেরেছে দুশো জনকে পাঠাও।”