বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে ভালোবাসা অন্ধ। প্রেমে পড়লে দিকবিদিক শূন্য হয়ে যায় মানুষ। যুগের পর যুগ ধরে অসংখ্য এমন প্রেম কাহিনী আমরা পড়ে এসেছি। তবে সমাজে কোথাও কোথাও বাস্তব কিছু প্রেম কাহিনী গড়ে ওঠে যেগুলি আমাদের খানিকটা হলেও ভাবায়। আজকের এই প্রতিবেদনের যিনি নায়ক, সেই পার্থ ঘোষ এমনই এক প্রেমের নজির রেখেছেন।
বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছিলেন পার্থ। তবে প্রেমিকার একটি মাত্র কথায় পার্থ এমন একটি কাজ করেছেন যা শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। এই গল্পের শুরু ২০০৮ সাল নাগাদ। সেই সময় পার্থ কলকাতা পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ কর্মচারী।
আরোও পড়ুন : ভারতের বদলে লাক্ষাদ্বীপ হত পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত! এইভাবেই দখল রুখেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল
সেই সময় পার্থর বর্তমান স্ত্রী তৃণা একদিন বাড়ি ফিরছিলেন টিউশুনি ক্লাস থেকে। সেই সময় তৃণা মাধ্যমিকের ছাত্রী। বাড়ি ফেরার সময় সেদিন কিছু ছেলে উত্ত্যক্ত করে তৃণাকে। সেই সময় বলিউডের নায়কের মতো পার্থ এসে বাঁচান তৃণাকে। এই ঘটনার পর পার্থর প্রতি একেবারে ফিদা হয়ে যান তৃণা।
আরোও পড়ুন : এটিই ভারতের বৃহত্তম সমুদ্র সেতু! ১৮ টাকায় পৌঁছে যাবেন ১ কিমি, জানেন কোথায় আছে?
তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে পা বাড়ায় প্রণয়ের পথে।ছোট থেকেই পার্থর স্বপ্ন ছিল পুলিশ বা সেনাবাহিনীতে কাজ করার। ২০০৮ সালে পার্থর সেই স্বপ্নপূরনও হয়। বহুদিন পার্থ ঘোষ কাজ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে।
তবে তৃণার বাড়ির লোকের বক্তব্য ছিল পুলিশে কর্মরত ছেলের সাথে কখনোই বাড়ির মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে না। তৃণা সেই কথা পার্থকে জানাতেই পার্থ সিদ্ধান্ত নেন পুলিশের চাকরি থেকে তিনি পদত্যাগ করবেন। এরপর 2016 সালে ইউপিএসসি (Union Public Service Commission) পাশ করে সবাইকে চমকে দেন পার্থ।
পার্থ ঘোষ এরপর যোগদান করেন রেভিনিউ ইন্সপেক্টর হিসেবে ল্যান্ড ডিপার্টমেন্টে। বর্তমানে সুখে ঘর সংসার করছেন পার্থ ও তৃণা। তবে এখন সমাজ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে পার্থ ও তৃণার এই প্রেম কাহিনী। শুধুমাত্র প্রেমিকার কথা শুনে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়ত খুব কম পুরুষই পারেন।