বাংলাহান্ট ডেস্ক : লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কটাক্ষ করে ভারতের সাথে ‘ঠান্ডা যুদ্ধে’ জড়িয়েছে মলদ্বীপ। মলদ্বীপের ৩ মন্ত্রীর কুবক্তব্যের পর যখন ভারত-মলদ্বীপের দীপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছে, ঠিক তখনই কেন্দ্রশাসিত এই দ্বীপ অঞ্চলে চালু হতে চলেছে বিমানবন্দর।
লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয়ের এই বিমানবন্দরে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার উপযোগী রানওয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় উদ্যোগে নতুন এই বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যতে সামরিক এবং অসামরিক দুই ক্ষেত্রের কথা চিন্তা করেই। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন একাধিপত্য কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরোও পড়ুন : সরকার গঠনের এক মাস যেতে না যেতেই বড় ধাক্কা! রাজস্থানে বেজায় বিপাকে বিজেপি
চীনের এই ‘দাদাগিরি’কে দমন করতে সক্রিয় মোদি সরকার। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন কোয়াড-এ চীন চেষ্টা করছে প্রভাব বিস্তার করার। তবে দিল্লি এই মুহূর্তে চিন্তায় সমুদ্র পথ নিয়ে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল মলদ্বীপের সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু ‘চিন ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত। মহম্মদ মুইজু ক্ষমতায় আসার পর একাধিক ভারত বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরোও পড়ুন : নিয়োগ দুর্নীতির ফাইনাল চার্জশিটে নাম রাজ্যের আরেক প্রাক্তন মন্ত্রীর, CBI-র রিপোর্টে শোরগোল
এর জেরে প্রভাব পড়েছে নয়াদিল্লি-মালে সম্পর্কে। এই আবহে কিছুদিন আগে লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমাজ মাধ্যমে কিছু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন। সেই ছবি ও ভিডিও দেখে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী, মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ।
প্রধানমন্ত্রীকে মলদ্বীপের মন্ত্রীরা ‘পুতুল’ এবং ‘জোকার’ বলেও কটাক্ষ করেন। যদিও বিতর্ক শুরু হলে সমাজ মাধ্যম থেকে এই ধরনের মন্তব্য মুছে দেন এই তিন মন্ত্রী। পরে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলের’ জন্য মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হয় এই তিনজনকে।