বাংলাহান্ট ডেস্ক : অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারতকে (India-UK) আরও সমৃদ্ধশালী করতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাঁচজনের মধ্যে একজন হয়ে উঠতে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার স্বপ্ন আপামর দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই লক্ষ্যের দিকেই এক এক পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে ভারত (India-UK)। আর এই যাত্রাতেই এক গুরুত্বপূর্ণ এবং দৃঢ় পদক্ষেপ হল ভারত-ইউকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
ভারত-ব্রিটেন (India-UK) বাণিজ্য চুক্তির জেরে কী কী লাভ হবে?
ভারতের (India-UK) অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ এই চুক্তির (India-UK Trade Deal) জোরে শুধু যে কৃষক, মৎস্যজীবী, ক্ষুদ্রশিল্পীরা লাভবান হবেন তাই নয়, প্রচুর কর্মসংস্থানের আশাও করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতার বাজারে নতুন একাধিক বিকল্প আসবে। সাধ্যমতো দাম অথচ উন্নত মানের পণ্য কেনা সহজ হয়ে উঠবে এখন সকলের পক্ষে।
অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে দেশের: বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তথা নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে জিডিপি। ইউপিএ সরকারের সময়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলির কাছে ভারত ছিল পিছিয়ে পড়া অর্থনীতির দেশ। তাই ভারতের (India-UK) সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় বিশেষ আগ্রহ দেখাত না প্রথম বিশ্বের রাষ্ট্রগুলি। কিন্তু বর্তমানে চিত্রটা বদলেছে। ভারতীয় অর্থনীতির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারীরা।
আরও পড়ুন : অপরাধ কমাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতেই ভরসা, পূর্ব ভারতে শিয়ালদহ স্টেশনেই প্রথম ‘বায়োমেট্রিক’ ক্যামেরা!
ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি বাড়বে: উন্নত রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষরের ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছেন মোদী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এহেন চুক্তিগুলি লগ্নিকারীদের আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। একদিকে ভারতের (India-UK) বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা করে, তেমনই দুই পক্ষই এতে লাভবান হয়। কী কী লাভ হবে ভারত ব্রিটেন চুক্তির জেরে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তির জোরে ব্রিটেনের বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা আরও বাড়াবে।
আরও পড়ুন : আটকানো গেল না, বেসরকারি হাতেই যাচ্ছে কলকাতা মেট্রো? মুখ খুলল কর্তৃপক্ষ
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের মতে, ভারত ইউকে চুক্তির জেরে কৃষক, ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পীরা লাভবান হবেন। ভারত থেকে ব্রিটেনে রপ্তানি হওয়া প্রায় ৯৫ শতাংশের বেশি কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যে লাগবে না কোনও শুল্ক। তার জেরে আগামী তিন বছরে কৃষি পণ্যের রপ্তানি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।