বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) মামলায় ফের এক তৃণমূল ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত কর্মী কলকাতা পুলিশের জালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী গৌতম সর্দারকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করল এসসিইও (Security Control Organisation)। তদন্তকারীদের দাবি, তিনি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র তৈরির একটি বড় চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ব্যক্তিকে জাল নথি তৈরির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করেছিল জেলা পুলিশ।
৩৫০-র বেশি জাল শংসাপত্র! উদ্ধার হয়নি অনেকটাই
সূত্রের খবর, গোটা তদন্তে এখনও পর্যন্ত ৩০০-৩৫০টি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই এখনও উদ্ধার হয়নি। মার্চ মাসে এসসিইও নজরে আনে, পাঠানখালি পঞ্চায়েতের তৈরি করা তিনটি জন্ম শংসাপত্র দিয়ে পাসপোর্টের (Passport Scam) আবেদন করা হয়েছে। এরপরেই তদন্ত ঘনীভূত হয় গৌতম সর্দারকে ঘিরে।
এসসিইও-র দাবি, সরকারি নথির হুবহু মতো দেখতে এই ভুয়ো শংসাপত্রগুলি সাইবার ক্যাফের মাধ্যমে অনলাইনে ডাউনলোড করানো হত। একাধিক ব্যক্তির নামে এভাবেই পাসপোর্ট তৈরির চেষ্টা চলছিল (Passport Scam )।
আরও পড়ুনঃ আগে অ্যাপ্রেন্টিসশিপ করুন, নতুন আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা প্রধান বিচারপতির
পাকিস্তানি নাগরিকের পাসপোর্টে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়
এই গোটা চক্রের তদন্ত শুরু হয় বিরাটির আজাদ মল্লিককে পাক নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করার পর। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গ্রেফতার করে আজাদকে। তাঁর কাছ থেকে ভুয়ো পাসপোর্ট (Passport Scam) পাওয়া যায়। এরপরেই উঠে আসে বাদল সাহানি নামের এক যুবকের কথা, যিনি জন্ম সার্টিফিকেট জাল করে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ বিএলও প্রশিক্ষণ শুরু, বাংলায় SIR প্রস্তুতিতে নড়েচড়ে বসল তৃণমূল কংগ্রেস
তদন্তে রাজনীতির যোগ?
গৌতম সর্দার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মী। ফলে গোটা বিষয়টিতে রাজনৈতিক বিতর্কও জোরদার হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, শাসক দলের ছত্রছায়াতেই চলছে এই জালিয়াতির কারবার।