বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী ২২ শে জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। তবে এই রাম মন্দির নকশার কাজ কিন্তু শুরু হয়েছিল প্রায় ৩০ বছর আগে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন প্রয়াত সভাপতি অশোক সিংহল এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্থপতি চন্দ্রকান্ত সম্পূরাকে। চন্দ্রকান্ত সম্পূরার পরিবার গত ১৫ প্রজন্ম ধরে যুক্ত রয়েছেন মন্দির নির্মাণের কাজে।
প্রায় ২০০টির কাছাকাছি মন্দিরের কাঠামো তৈরি করেছেন চন্দ্রকান্ত সম্পূরা নিজে। এই মন্দিরগুলি সব কটি নাগারা আদলে। গুজরাতের সোমনাথ মন্দির হোক বা অক্ষরধাম মন্দির, আমাদের দেশের বহু বিখ্যাত মন্দির এই স্টাইলে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কী এই নাগারা স্টাইল যা কিনা ব্যবহার করা হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের নকশাতেও?
আরোও পড়ুন : মাত্র ২০ মিনিটে হবে ২ ঘণ্টার সফর! সমুদ্রের উপর ২২ কিমি দীর্ঘ অটল সেতুর উদ্বোধন আজ
ভারতের একাধিক রাজ্যের নাগারা স্থাপত্য কলা মন্দিরের দেখা মেলে। বিশেষ করে এই স্টাইলের মন্দিরের চল রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা, অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশে। এই শৈলীর অন্যতম একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল শিখর বা শৃঙ্গ (Shikharas), এই ধরনের স্থাপত্যগুলি লম্বা বা পিরামিডের আকৃতির মতো উঁচু হয়। নাগার মন্দির স্থাপন করা হয় উঁচু ভিতের উপর। সেটিকে ঘিরে অবস্থান করে একাধিক কংক্রিটের দেওয়াল।
আরোও পড়ুন : ২১০০ কেজির ঘণ্টা, ১০৮ ফুট লম্বা ধূপকাঠি… রাম মন্দিরের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে আসছে উপহার
নাগারার কিছু বৈশিষ্ট্য:
শিখর: এই মন্দিরের সবথেকে উঁচু অংশটি হল শিখর। পিরামিড আকৃতির হয়ে থাকে এই শিখর। এর উপরের অংশটির নাম কলশা।
আয়তন: মূলত বর্গাকার বা আয়তকার হয়ে থাকে এই মন্দিরগুলি। একাধিক ছোট ছোট টাওয়ারের মতো অংশ থাকে মন্দিরে, এগুলিকে বলা হয় মুখমণ্ডপ।
গর্ভগৃহ: মন্দিরের ভেতর যেখানে দেবতার অবস্থান সেটাকে গর্ভগৃহ বলা হয়। ছোট, অন্ধকার এই কক্ষে শুধুমাত্র প্রবেশ করতে পারেন পুরোহিতরা।
মন্ডপ: মন্দিরের মূল বড় হল জায়গাটিকে বলা হয়ে থাকে মন্ডপ। ভক্তরা জড়ো হয়ে উপাসনা করতে পারেন এখানে।
এছাড়াও পাথর বা ইট দিয়ে তৈরি হয় মন্দিরের দেওয়াল। নানান ধরনের ভাস্কর্য থাকে সেই দেওয়ালে। এছাড়াও মন্দিরের দেওয়ালে থাকে একাধিক জানলা যেখান দিয়ে প্রবেশ করে সুর্যালোক। এছাড়াও মন্দিরের প্রবেশ পথ বা তোরণ থাকে যেখান দিয়ে প্রবেশ করেন ভক্তরা।