বাংলা হান্ট ডেস্ক: বঙ্গে বাড়বে চিকেনের চাহিদা। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে মুরগীর দাম। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিল মুরগি ব্যবসায়ীরা। সূত্রের খবর, পরিবহন দফতর অন্যায় ভাবে মোটার অংকের টাকা জরিমান করছে। সেই জরিমানা দিতে না পারলে গাড়ি আটকে রাখায় মুরগি মারা যাচ্ছে। যার ফলে লোকসান হচ্ছে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা জানান, এই হয়রানি বন্ধ না করলে আগামী দিনে ঝাড়্গ্রাম থেকে কলকাতা সহ অন্যান্য জেলায় ব্রয়লার মুরগি পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ঝাড়গ্রাম থেকে ব্রয়লার মুরগির গাড়ি না পাঠানোর হুঁশিয়ারি ব্যবসায়ীদের (Jhargram)
অনির্দিষ্টকালের জন্য বাজারে মিলবে না মুরগির মাংস (Chicken)। ব্রয়লার মুরগির (Broiler Chicken) গাড়ি বন্ধ করে দেওয়ায় এহেনো হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ীরা (Broiler Chickens)। কেন এরকম আচমকা হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা। জানা যায়, ব্রয়লার মুরগির গাড়িকে মোটা অংকের জরিমানা করেছে পরিবহন দফতর। তাই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আটকে রয়েছে ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ীদের গাড়ি। এর ফলে বহু মুরগি মারা যাচ্ছে।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সরব হয়েছেন ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ীরা ঝাড়গ্রাম জেলা পরিবহন দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রামে প্রচুর সংখ্যায় ব্রয়লার মুরগির খামার আছে। সেখান থেকে মুরগি কলকাতা ও আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হয়। অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মুরগি পরিবহণ করতে গিয়ে বারবার পরিবহণ দপ্তরের হয়রানির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: চড়চড়িয়ে বাড়ল সোনার দাম! আজ শহরে হলুদ ধাতু কিনতে কত খরচ পড়বে, দেখুন রেট চার্ট…
এই বিষয়ে হুগলি জেলার ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ী শেখ মইনুর আলমরা জানান, আজ ঝাড়্গ্রাম আরটিও অফিসারের সঙ্গে দেখা করে এসেছি। ঝাড়গ্রামে গাড়ি লোড করতে এলে অন্যায় ভাবে সেগুলির ওপর কেস দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তৎক্ষণাৎ টাকা দেওয়ার দাবিও করা হচ্ছে। টাকা না দিলে গাড়ি আটকে রাখা হচ্ছে। যার ফলে গাড়িতে থাকা ব্রয়লার মুরগিগুলি সব মারা যাচ্ছে। এতে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তিনি আরও জানান, এই সমস্যা সমাধান না হলে মুরগি সরবরাহ বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।
মুরগি সরবরাহ বন্ধ থাকার ফলে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রয়লার মুরগির যোগানের টান পড়তে পারে। এর ফলে কেজি দরে চিকেনের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এই প্রসঙ্গে পরিবহন দফতরের তরফ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি।