মেঘ কাটতেই সমুদ্রে রূপোলি শষ্যের ঝিলিক, ইলিশ নিয়ে ফিরবেন মৎস্যজীবীরা, আশায় ভোজনরসিকরা

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই রোদ তো এই বৃষ্টি। গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে রোদের নামই ভুলেছিল দক্ষিণবঙ্গ। খারাপ আবহাওয়ার বড়সড় প্রভাব পড়েছিল ইলিশের (Hilsa Fish) বাজারে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় মৎস্যজীবীরা অনেকদিন যেতে পারেননি সাগরে। অধরাই থেকে গিয়েছে ইলিশের ঝাঁক। তবে এখন আবহাওয়ার বদল হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। সূর্যের মুখ দেখতেই তাই ফের ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। এবার কি শিকে ছিঁড়বে ভাগ্যে।

ফের ইলিশের (Hilsa Fish) খোঁজে সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা

ক্যালেন্ডার বলছে ভরা শ্রাবণ চলছে। বাইরে কখনও ইলশেগুঁড়ি, কখনও বা ঝমঝম বৃষ্টি। এদিকে ইলিশের (Hilsa Fish) বাজার খাঁ খাঁ করছে। গঙ্গার ইলিশের আকাল দেখা দেওয়ায় চাহিদা পূরণ করছে গুজরাট, মহারাষ্ট্রের ‘বম্বে ইলিশ’। এই পরিস্থিতির জন্য খামখেয়ালি আবহাওয়াকেই দায়ী করছেন মৎস্যজীবীরা। সমুদ্র উত্তাল থাকায় বারে বারে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। ফলত অন্যবার যেখানে মাছের বাজারে ইলিশের (Hilsa Fish) পসরা সেজে ওঠে, এবার মুখ ভার করেই ফিরতে হচ্ছে ভোজনরসিকদের।

More hilsa fish may come to market in good weather

নিম্নচাপ কাটতেই ইলিশ ওঠার আশা: তবে এবার তাঁদের জন্য সুখবর আসতে পারে বলেই মনে করছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। নিম্নচাপ সরতেই ফের ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে মৎস্যজীবীরা। কলকাতার বাজারে ইলিশের (Hilsa Fish) মূল জোগান দেয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, কাকদ্বীপ। আগামী সোম মঙ্গলবার ফের উপকূলে ফিরবে ট্রলারগুলি। মৎস্যজীবীদের আশা, যথেষ্ট পরিমাণ ইলিশ (Hilsa Fish) উঠবে এবার জালে।

আরও পড়ুন : পরপর বাধা লেগেই রয়েছে সব কাজে? রান্নাঘরের এই ‘সামান্য’ উপকরণেই ঘটবে ম্যাজিক!

ইলিশের জোগানে টান: সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বলেন, সাগরে ইলিশের (Hilsa Fish) আকাল চলছে। গত কয়েকদিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় এবং মরা কোটাল চলায় ইলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। মোহনাতেও দেখা মেলেনি রূপোলি শষ্যের।

আরও পড়ুন : শ্রাবণ মাসে নিরামিষ খেয়ে একঘেয়ে লাগছে? স্বাদবদল করুন ছানার ডাব মালাই দিয়ে, রইল রেসিপি

গত ১৬ ই জুন কাকদ্বীপ, নামখানার ট্রলারগুলি প্রায় ২৫ টন ইলিশ এনেছিল। তারপর প্রায় দেড় মাস ইলিশের খরা চলছিল। এর মাঝে খারাপ আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও ৪০০ টন ইলিশ উঠেছিল মৎস্যজীবীদের ট্রলারে। এবার আরও বিপুল পরিমাণে মাছ উঠবে বলেই আশাবাদী মৎস্যজীবীরা।