মাফিয়া রাজ! অবাধে চলছে বালি পাচার, কাঁকসায় বালি ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত যুবক, রণক্ষেত্র দুর্গাপুর

Published on:

Published on:

Sand mafia truck kills youth in Durgapur villagers turn Kanksa into battlefield

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসায় বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ফের প্রাণ গেল এক স্থানীয় যুবকের। সূত্রের খবর, শুক্রবার বালি ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনার পরেই রাস্তার বেহাল দশা ও ওভারলোড গাড়ির বেপরোয়া দৌড় নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসী। মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

কাঁকসার (Durgapur) ভগ্নদশা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই ছুটছে ওভারলোডেড ট্রাক ও ডাম্পার

স্থানীয় সূত্রে খবর, কাঁকসার ভগ্নদশা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই ছুটছে ওভারলোডের বালি ট্রাক ও ডাম্পার। গতি নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির বালাই নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুবার রাস্তা সংস্কার ও প্রসারিত করার দাবি জানানো হলেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং অবৈধ বালি পাচারের পিছনে ‘টাকার খেলা’ চলছে বলে দাবি করেছেন অনেকে।

শুক্রবার সকালে এক যুবক সাইকেলে যাচ্ছিলেন ওই খারাপ রাস্তা ধরে। সেই সময় বালি পাচারকারী এক ডাম্পার বেপরোয়া গতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরই উত্তাল হয়ে ওঠে দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসা। গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করে গাড়ি ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। পুলিশ বিক্ষোভ থামাতে এলে পুলিশের দিকে ইট ছোড়া হয়, লাঠি হাতে পথে নামা মহিলারা। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা।

স্থানীয়রা সরাসরি অভিযুক্ত করেছেন গৌতম দেবনাথকে। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালি পাচার চালাচ্ছেন এই গৌতম দেবনাথ। এর জন্য রাজ্যের প্রশাসন কেউ দায়ী করেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘রাস্তা খারাপ থাকা সত্ত্বেও ১৬ চাকা ২২ চাকার লরি রাস্তা দিয়ে অবাধে চালানো হচ্ছে। কিছু বলতে গেলে বাড়িতে এসে মারধর করে যাচ্ছে। পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কেস দিয়ে দিচ্ছে, বাড়ি ভাঙচুর করে যাচ্ছে।’ স্থানীয়রা এদিন জোর গলায় হুঁশিয়ারি দেয় যে তাঁরা ওই রাস্তা থেকে আর বালির গাড়ি চলতে দেবে না।

Sand mafia truck kills youth in Durgapur villagers turn Kanksa into battlefield

আরও পড়ুনঃ ভোটার লিস্টে বড়সড় গরমিলের! ৪ জনের পর এবার আরও ২৫ জনকে ধরল কমিশন

উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের (Durgapur) এই ঘটনায় গ্রামবাসীর একটাই দাবি, অবৈধ বালি পাচার বন্ধ হোক, রাস্তাঘাট সংস্কার করা হোক, আর কোনও প্রাণ যেন এভাবে অকালে না চলে যায়। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তাঁদের হুঁশিয়ারি, “এবার যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”