বাংলাহান্ট ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত পড়ার জোগাড় ব্যবসায়ীদের। সামনেই উৎসবের মরশুম আসছে। এই সময়টাতেই ব্যবসায়ীরা (India) লাভের মুখ দেখে থাকেন। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক নীতির চাপে এবার কার্যত বড়সড় সমস্যায় পড়তে চলেছেন বহু ব্যবসায়ীরা। আবার এদিকে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটে গিয়েছে।
মার্কিন শুল্কের জেরে ভারতের (India) চিংড়ি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে
ট্রাম্প শুল্ক চাপানোয় চিংড়ি ব্যবসায়ীদের (India) মাথায় পড়েছে হাত। গত অর্থবর্ষে ১.৭৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন সামুদ্রিক মাছ আমেরিকায় রপ্তানি করা হয়েছিল। ভারতের (India) হাতে এসেছিল ৭.৩৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু শুল্ক প্রচুর বাড়িয়ে দেওয়ায় চিংড়ি আর রপ্তানি হবে না বলেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
কত শুল্ক চাপছে: চিংড়ি চাষিরা জানান, এই মুহূর্তে আমেরিকায় চিংড়ি রপ্তানি করতে সহজ পড়বে ৫৯.৮২ শতাংশ। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হবে ৫.৭৬ শতাংশ কাউন্টারভেলিং শুল্ক এবং ৩.৯৬ শতাংশ অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক। তাই মৎস্য ব্যবসায়ীরা (India) আশঙ্কা করছেন, যদি ঘোষণা মতো শুল্ক বসে তবে এত দাম দিয়ে আর কেউ চিংড়ি কিনতে চাইবে না। ফলত প্রচুর ক্ষতি জেনেও ছেড়ে দিতে হবে মাছগুলি।
আরও পড়ুন : সত্যি হতে চলেছে ‘দিবাস্বপ্ন’, বই খুলেই পরীক্ষা দিতে পারবে পড়ুয়ারা! বড় সিদ্ধান্তের পথে CBSE
কী জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা: রাজ্যের (India) মৎস্য দফতরের যুগ্ম ডিরেক্টর বলেন, সিংহভাগ বড় চিংড়িই আমেরিকায় রপ্তানি হয়, যেগুলো দাম ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি। কিন্তু অতিরিক্ত শুল্ক চাপায় রপ্তানিকারকরা আর কিনতে চাইছেন না চিংড়ি। সরকারি তথ্য (India) অনুযায়ী, চিংড়ি চাষি ছাড়াও মৎস্যচাষের সঙ্গে যুক্ত আরও বহু মানুষ এই শুল্কের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আমেরিকার প্রায় প্রতিটি স্টোরেই থাকে ভারতীয় চিংড়ি যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ অন্ধ্রের। একই ভাবে ওড়িশার চিংড়ি চাষিরাও পড়তে চলেছেন ক্ষতির মুখে।
আরও পড়ুন : এক ক্লিকেই গিরগিটির মতো রঙ বদলায় গাড়ি! নীতা অম্বানির বিলাসবহুল বাহনটির দাম কত জানেন?
অন্ধ্রের বেশিরভাগ সিফুড রপ্তানিকারকরা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ রপ্তানিকারকরা ৫-৬ শতাংশ লাভ রেখে বেচে মাল বিক্রি করে দিচ্ছে। শুধুমাত্র ব্র্যান্ড ভ্যালু থাকা বড় রপ্তানিকারকরাই ১০ শতাংশ লাভ রেখে বিক্রি করছেন।