বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগোতে চলেছে বাংলা। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে দুটি নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি কেন্দ্রের ক্ষমতা হবে ৮০০ মেগাওয়াট, ফলে মোট ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন যোগ হবে রাজ্যের গ্রিডে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে পিপিপি মডেলে, অর্থাৎ বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই প্রকল্পের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)।
জিন্দাল গোষ্ঠীর উদ্যোগে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, শালবনীর এই দুটি কেন্দ্র তৈরির জন্য এবার দরপত্র ডাকা হবে। ইতিমধ্যেই জিন্দাল গোষ্ঠী এখানে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু করেছে, যার শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দালও। পাশাপাশি সাগরদীঘিতেও শীঘ্রই চালু হবে সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলা দেশের অন্যতম শীর্ষ রাজ্যে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ খাতে সাফল্যের ধারাবাহিকতা
গত ১৪ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে নজির গড়েছে বাংলা। একসময় যে রাজ্য লোডশেডিং-এর জন্য কুখ্যাত ছিল, সেখানে এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট প্রায় অতীত। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বাম আমলের ‘লোডশেডিং সরকার’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এনে বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতির কথা উল্লেখ করেছেন। এই ধারাবাহিক সাফল্য শিল্প বিনিয়োগ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত নবান্নের (Nabanna)
এদিনের মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিদ্যুতের পাশাপাশি নিয়োগ ক্ষেত্রেও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ৬২৭ জনকে স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিচার দপ্তরে ২২টি নতুন পদ, স্বাস্থ্য দপ্তরে ২৩১ জন ই-মোবাইল মেডিকেল ইউনিট অ্যাটেনডেন্ট ও সমসংখ্যক চালক মিলিয়ে ৪৬৪ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া, এসএসকেএম হাসপাতালে ১২২টি নতুন পদ এবং মেডিকেল কলেজের কার্ডিয়াক অ্যানাস্থেসিওলজি বিভাগে তিনটি নতুন পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের পারমাণবিক হুঁশিয়ারিতে সরব দিল্লি, ‘শত্রু’ দেশকে বড় কথা মনে করাল কেন্দ্র
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেরা’য় ২৩টি নতুন পদ সৃষ্টির পাশাপাশি, স্কুলে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের বিধিও পাশ হয়েছে। শিক্ষকদের মতোই শিক্ষা কর্মীদের অভিজ্ঞতার জন্য ৫ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে চাকরিহারাদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই নবান্নের (Nabanna) তরফে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।