বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ডিসেম্বরেই সামনে এসেছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। তাতে গেরুয়ার দাপট দেখে কার্যত চমকেই গেছিল গোটা দেশ। যার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীশগঢ় এবং রাজস্থানে কংগ্রেসকে (Congress) হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি (BJP)। আর এবার নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) পাল্টি খেতেই বিহারও (Bihar) চলে এল বিজেপির দখলেই। অর্থাৎ দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে মাত্র ১১টিতেই রইল বিরোধী শাসিত সরকার।
গত কালকেই জোট ভেঙে বিজেপির সমর্থক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। তারপর থেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে কংগ্রেস। পাঁচ রাজ্যের তিন তো আগেই হারিয়েছিল আর এবার বিহারও কংগ্রেসের হাতছাড়া প্রায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস-কে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য তেলঙ্গানা দখল করে কংগ্রেস।
অর্থাৎ গোটা দেশে তেলেঙ্গানাকে নিয়ে কংগ্রেসশাসিত রাজ্য এখন তিনটি। বাকি দুটি রাজ্য যথাক্রমে হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটক। এদিকে দেশের ১২ টি রাজ্যে এককভাবে হাত রয়েছে বিজেপির।তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, গুজরাত, গোয়া, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে। এছাড়াও শরিকদের সমর্থনের কথা বললে আরও পাঁচটি রাজ্যে বজায় রয়েছে বিজেপির আধিপত্য।
আরও পড়ুন : নির্বাচনের আগে গুরুতর অসুস্থ মিমি চক্রবর্তী, ভক্তমনে উদ্বেগ, কী হয়েছে অভিনেত্রীর?
তালিকায় রয়েছে, মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং সিকিম এবং বিহার। সবে মিলিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র হাতে এল মোট ১৭টি রাজ্য। ওদিকে পাঞ্জাব ও অর্ধ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দখলে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ এখন রয়েছে তৃণমূলের দখলে। ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন জোট বেঁধেছে কংগ্রেস ও আরজেডির সাথে।
আরও পড়ুন : দরকারে মানুষের মতো কথা বলে গাছেরাও! ভিডিও দেখিয়ে বড় প্রমাণ দিয়ে চমকে দিলেন বিজ্ঞানীরা
তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকে-র সমর্থনে রয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএমকে। যেখানে মিজোরামের শাসকদল হল লালডুহোমার দল জেডপিএম। ওড়িশা রয়েছে বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়কের দখলে। যেখানে অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কেরল রয়েছে বাম জোটের দখলে। যার মধ্যে বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং জ়েডপিএম রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বাইরে।