বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার সকাল, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে ভরপুর মেজাজে ছিল রেড রোড। কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎই ঘটে যায় বিপদ। দেখা যায় একের পর এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে। অতিরিক্ত গরম ও রোদের তাপে এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন দেখা যায় বহু ছাত্রছাত্রী অস্বস্তি বোধ করে মাটিতে বসে পড়ে। মুহূর্তেই তড়িঘড়ি তাদের নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে। খবর পেতেই নিজের সময়সূচি বদলে সোজা হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
SSKM হাসপাতালে অসুস্থ ছাত্রীদের মিষ্টি ও জল খাওয়ালেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
হাসপাতালে গিয়ে একে একে সব পড়ুয়ার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেন তিনি। পাশে বসে কাউকে জল খাওয়ালেন, কারও হাতে মিষ্টি তুলে দিলেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানান, “গরমে আর খিদেতে অনেকের ডিহাইড্রেশন হয়ে গেছে। অনেকে সকালে খাবার খেলেও অনুষ্ঠান শুরুর আগে টেনশনে আর খায়নি।” এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে একটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারও আছে। এক বন্ধুকে অসুস্থ হতে দেখে অন্যরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। তবে এখন সবাই স্বাভাবিক আছে।”
SSKM- এর ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, সুস্থ হলে একে একে ছাড়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানান, মোট ৩৯ জন পড়ুয়া ছিল, তাঁদের মধ্যে ফতেমা শেখাওয়াত নামের এক ছাত্রীকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে এবং পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা হাসপাতালে রয়েছেন এবং হাসপাতাল থেকেই সকলকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।
এই দিন ধনধান্য স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকেও বিশেষ বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের লেখা কবিতা পাঠ করার পর রাজ্যের মেয়েদের শিক্ষায় অগ্রগতির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। জানান, ২০১১-১২ সালে প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের স্কুলছুটের হার ছিল ৪.৭৫ শতাংশ, বর্তমানে তা শূন্য। সেকেন্ডারিতে ১৬.৩২ শতাংশ থেকে কমে ২.৯ শতাংশ, এবং হায়ার সেকেন্ডারিতে ১৫.৪১ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৩.১৭ শতাংশে।
আরও পড়ুনঃ প্রথম চাকরিতে মিলবে ১৫ হাজার টাকা, যুবকদের জন্য স্বাধীনতা দিবসের উপহার দেবেন মোদী, কারা পাবেন?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাবা-মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার চাপ না দিতে। মেয়েরা সংসার চালায়, দেশ চালায়, প্লেন চালায়। তারা পারে না বলে কিছু নেই।” রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী থেকে তরুণের স্বপ্ন, মেয়েদের জন্য রাজ্যের নানা প্রকল্পের উল্লেখ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮ বছরে মেয়েরা ২৫ হাজার টাকা পাচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়ক হবে। এদিন স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী সকলের উদ্দেশ্যে বার্তা ইয়ে বলেন, “মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখনই।”