বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা SIR প্রক্রিয়া নিয়ে দেশজুড়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, তখন সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি মুখ খুললেন নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) মুখ্য নির্বাচন কমিশনার গণেশ কুমার। একের পর এক অভিযোগ খণ্ডন করে এদিন স্পষ্ট বার্তা দিয়ে তিনি বললেন, “কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনীতি করা হচ্ছে।” এদিন তিনি স্পষ্ট বলেন যে, “নির্বাচন কমিশন নিজের সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে একচুলও পিছোবে না।”
‘কমিশনের (Election Commission) কাছে সবাই সমান’, জানালেন মুখ্য কমিশনার গণেশ কুমার
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বক্তব্য, সব রাজনৈতিক দলের জন্ম হয় কমিশনের নথিভুক্তির মধ্য দিয়ে। তাই কমিশনের কাছে সবাই সমান। এখানে কারও পক্ষপাতিত্ব নেই। “ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য সব রাজনৈতিক দলই দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছিল। সেই দাবির ভিত্তিতেই SIR শুরু হয়েছে,” জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বিহার থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে কাজ করছেন ভোটার, বুথ লেভেল অফিসার ও রাজনৈতিক দলের পাঠানো ১ লক্ষ ৬ হাজার বিএলএ। এখনও পর্যন্ত ২৮,৩৭০ ক্লেইমস অ্যান্ড অবজেকশন জমা পড়েছে বলে জানান তিনি।
কমিশনের (Election Commission) অভিযোগ, রাজনৈতিক দলের নিচুতলার তথ্য হয়তো শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। “এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন ভয় পায় না।” পাশাপাশি কমিশন মনে করিয়ে দিয়েছে, ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। অথচ অনুমতি ছাড়া কিছু ভোটারের ছবি সামনে এনে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কমিশনের (Election Commission) বক্তব্য, লোকসভা ভোটে ১ কোটিরও বেশি কর্মী, ১০ লক্ষেরও বেশি বুথ লেভেল এজেন্ট এবং ২০ লক্ষ পোলিং এজেন্ট একযোগে কাজ করেন। এত বড় ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোট চুরি সম্ভব নয়। প্রমাণ চাওয়া হলেও কোনও দলই অভিযোগের সপক্ষে কিছু দেখাতে পারেনি বলে দাবি কমিশনের।
আরও পড়ুনঃ প্রথমবার সরকারি স্বীকৃতি! এবার থেকে ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে বালুরঘাটে
শেষে কমিশনের (Election Commission) বার্তা, “নির্বাচন কমিশন গরিব, বড়লোক, বৃদ্ধ, মহিলা, যুব সহ সমাজের সব স্তরের সব ধর্মের ভোটারদের সঙ্গে কোনও ভেদাভেদ না করে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিল, দাঁড়িয়ে থাকবে।” তবে বিহারে কত নেপালি বা রোহিঙ্গা পাওয়া গিয়েছে তা জানানো হয়নি। কমিশন শুধু স্পষ্ট করেছে, তাঁদের ভোটাধিকার থাকবে না এবং বাংলায় কবে SIR হবে, তা যথাযথ সময়ে জানানো হবে।