বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যপালের হাতে আটকে থাকা বিল নিয়ে জটিলতা ঘিরে ফের সরগরম শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। টানা তিন দিনের শুনানিতে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দিল, প্রতিটি সমস্যার সমাধান আদালতের দেওয়া রায়ে সম্ভব নয়। কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে রাজ্যগুলিকে। এই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
কিছু সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান রয়েছে বলে বক্তব্য কেন্দ্রের
বৃহস্পতিবার শুনানির তৃতীয় দিনে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “ধরুন রাজ্যপাল কোনও বিলকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছেন। সেই সমস্যার ক্ষেত্রে কিছু না কিছু রাজনৈতিক সমাধানও রয়েছে। যা নানা ভাবে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু রাজ্যগুলিকে সব সময় যে তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টেই (Supreme Court) ছুটে যেতে হবে এর কোনও মানে নেই। নির্দিষ্ট রাজ্যের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি জানাতে পারেন। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করতে পারেন। অর্থাৎ, এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। কিন্তু আদালত কোনও রায় দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে বাধ্য করতে পারে না যে তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”
সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না হলেও কি হাত-পা বাঁধা থাকবে আদালতের (Supreme Court)? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
কেন্দ্রের এই বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই পাল্টা বলেন, “সমস্যা তৈরি হলে, তার সমাধানও খুঁজতে হবে।” এরপর তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, “যদি কোনও সাংবিধানিক পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি নিজের দায়িত্ব পালন না করেন, তখনও কি আদালতের হাত-পা বাঁধাই থাকবে?” এই প্রশ্নে মূলত জটিলতা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এবার এক হবে উত্তর-দক্ষিণ, হাজার কোটির সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির হাতে বিল আটকে থাকার সময়সীমা নিয়ে বিতর্ক এখন সাংবিধানিক তর্কের কেন্দ্রে। কেন্দ্র রাজনৈতিক সমাধানের কথা বললেও আদালত (Supreme Court) বরাবরই ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সমস্যার মীমাংসার পক্ষে। ফলে এই মামলার রায় কেবল বিচারব্যবস্থার সীমারেখা নয়, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।