বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ শেষ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দেওয়া সময়সীমা। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের অনুরোধে জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। তবে ডেডলাইনের দিনেও প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ কার্যকর নিয়ে সংশয়
প্রসঙ্গত, কমিশনের কাছে মুখ্যসচিবের নেওয়া ডেডলাইন শেষ হচ্ছে আজ। জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) দ্বারা বহিষ্কৃত হওয়া চারজন অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশ মত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আর আজই সেই ২১ অগাস্ট। যদিও বেলা বাড়তে থাকলেও অফিসারদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা শোনা যায়নি মুখ্যসচিবের মুখে।
কোন অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়েছেন চার অফিসার?
ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে রাজ্য সরকারের চার অফিসারের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা এমনকি সাসপেন্ড করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফ থেকে। তবে চার অফিসারের সাসপেন্ড এবং FIR থেকে সরে দাঁড়ায় রাজ্য। উল্টে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাঁদের। একপ্রকার কোনও কর্মীর বিরুদ্ধেই কোনওরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়না রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
এরপরেই কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ না মানার কারণ জানতে চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে তলব করা হয় দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দফতরে। সেখানে গিয়েই ২১ আগস্টের মধ্যে কমিশনের নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে কমিশনের সেই নির্দেশ আজ আদৌ কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে বাড়ছে সংশয়।
রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) একটি চিঠি কিছুদিন আগেই তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। ২ জন ডব্লুবিসিএস-সহ মোট ৪ জন রাজ্য সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করে, তাঁদের নামে FIR রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওই চিঠিতে। ওই ৪ আধিকারিক ERO ও AERO হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভুয়ো ভোটারের নাম তালিকাভুক্ত করেছিলেন বলেই অভিযোগ তুলেছিল কমিশন।
আজকের দিন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হচ্ছে কমিশনের (Election Commission) দেওয়া ডেডলাইনও। কিন্তু রাজ্য সরকার আদৌ কঠোর পদক্ষেপ নেবে কি না, নাকি আগের মতো সময় পার করে নরম অবস্থানেই থেকে যাবে, এখন সেটাই দেখার।