বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহারের বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জনের মামলায় এবার সরাসরি রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বুথ লেভেল এজেন্টদের (বিএলএ) কার্যকারিতা নিয়ে আদালতের প্রশ্নে চাপে পড়ল রাজনৈতিক মহল। শুক্রবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত স্পষ্ট জানায়, রাজনৈতিক দলগুলির নিস্ক্রিয়তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব নিয়ে প্রশ্ন আদালতের (Supreme Court)
এদিনের শুনানিতে বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন যে, “রাজনৈতিক দল ও তাদের বুথ লেভেল এজেন্ট বা বিএলএ-রা কেন নিস্ক্রিয়? স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব এতটা?” আদালতের (Supreme Court) প্রশ্নে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে বুথ লেভেল এজেন্টদের ভূমিকা। কমিশনের তরফে জানানো হয়, এ নিয়ে পর্যাপ্ত নথি রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হলেও তাঁরা কার্যত কোনও পদক্ষেপ নেননি।
শুনানি চলাকালীন কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, বিহারে আঞ্চলিক ও জাতীয় দল মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার বুথ লেভেল এজেন্ট রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৯০ হাজার বুথে তাঁদের নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এদের মধ্যে কেউই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দ্বারস্থ হননি।
বিহারের প্রধান বিরোধী দল আরজেডির (RJD) হয়ে সওয়াল করছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অন্যদিকে আরও ৭টি রাজনৈতিক দল, যাদের মধ্যে তৃণমূলও রয়েছে, তাদের হয়ে সওয়াল করছেন অভিষেক মনু সিংভি। কমিশনের দাবি, এই সব আইনজীবীরা মূলত সাংসদদের হয়ে উপস্থিত হয়েছেন, কোনও দলের হয়ে নয়। কমিশনের বক্তব্য, “সব থানা, পঞ্চায়েত এলাকা এবং এজেন্টদের বাদ পড়াদের তালিকা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে কেউ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অভিযোগ জমা দেননি। আসলে কোনও বৈধ ভোটারেরই নাম বাদ পড়েনি। মামলাকারীরা ভিত্তিহীন গল্প সাজাচ্ছেন। আদালতের কাছে আমাদের আর্জি কমিশনকে সময় দেওয়া হোক, আস্থা রাখা হোক।”
আরও পড়ুনঃ ফের কেঁপে উঠল কালিঘাট, এবার ১০ দফা দাবি নিয়ে পথে আশা কর্মীরা, কি কি দাবি?
উল্লেখ্য, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ সেপ্টেম্বর। তবে এই শুনানিতে রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা নিয়ে আদালতের (Supreme Court) সরাসরি প্রশ্ন ভবিষ্যতে এই মামলার গতি কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে।