বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা আইআইটিতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে খুব কম সংখ্যক পড়ুয়া আইআইটিতে সুযোগ পান। পরীক্ষার রেজাল্টে স্থান অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইআইটিগুলিতে সুযোগ পান পড়াশোনা করার। অধিকাংশ পরীক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণীর পর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে ব্যতিক্রম। সত্যম কুমার এমনই এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় মাত্র ১৩ বছর বয়সে উত্তীর্ণ হন সত্যম।
আরোও পড়ুন : ছুঁলেন গীতা, তারপরেই পাঠ করলেন শপথ বাক্য! অস্ট্রেলিয়ার সংসদে বাঙালি সেনেটরের বেনজির কীর্তি
আমাদের দেশে বহু প্রতিভাবান পড়ুয়া রয়েছেন যারা ‘বিস্ময় বালক’ নামে খ্যাত। সত্যম কুমার সেই তালিকারই এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ২০১২ সালে আইআইটির জয়েন্ট পরীক্ষায় সত্যম ৬৭০ স্থান অধিকার করেন। সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসাবে ভর্তি হন আইআইটিতে। তারপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সত্যমকে।
আরোও পড়ুন : চলে গেলেন ‘১টাকার ডাক্তার’! চিকিৎসকের শোকে মুহ্যমান কাঁথি এলাকার মানুষ
তবে সত্যমের ছোটবেলার সফর কিন্তু মোটেও সুখকর ছিল না। বিহারের কৃষক পরিবারের সন্তান সে। ছোটবেলা থেকে তার জীবন কেটেছে দারিদ্রকে সঙ্গী করে। তবে হাজারো বাধা অতিক্রম করে ২০১৮ সালে সত্যম কানপুর আইআইটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। তার রেজাল্টও ছিল রীতিমতো ঈর্ষণীয়।
তারপর গবেষণার জন্য তিনি ভর্তি হন আমেরিকার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে গবেষণার কাজ শেষ করে শিক্ষানবীশ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে মাত্র ২৪ বছর বয়সে সুযোগ পান অ্যাপেলে। বিহারের ভোজপুর এলাকার বাসিন্দা সত্যম শিখিয়েছেন কীভাবে ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমের জেরে সফলতার শিখরে ওঠা যায়।