বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শহরের বুকে ফের ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ। দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটের নৌকার মধ্যে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আলাপ, নৌকায় তুলে ধর্ষণ (Rape)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তের আলাপ হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। মার্চ মাসে শুরু হয় যোগাযোগ। তরুণীকে বিশ্বাস করাতে সে নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মী বলে দাবি করে। ধীরে ধীরে আস্থা অর্জন করে মোবাইল নম্বর নেয়। প্রথম সাক্ষাতের দিনে নৌকায় গঙ্গা ভ্রমণের নাম করে প্রিন্সেপ ঘাটে নিয়ে যায় তরুণীকে। অভিযোগ, সেখানেই ঘটে ভয়ঙ্কর ঘটনা (Rape)।
ঘটনার পর নির্যাতিতা নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। রবিবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলার পর পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্তের আসল পরিচয়, ভুয়ো দাবির উৎস এবং অতীতে এমন কোনও অভিযোগ আছে কি না, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শহরের অন্যতম জনপ্রিয় জায়গায় এমন অপরাধ ঘটায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে নজরদারির এড়িয়ে প্রিন্সেপঘাটে এমন ঘটনা ঘটতে পারে?শহরবাসীর অভিযোগ, প্রিন্সেপ ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় এই ধরনের অপরাধের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ “১৮০৬ নয়, অন্তত ৬ হাজার নাম থাকা উচিত”, অযোগ্য তালিকা নিয়ে সরব প্রাক্তন বিচারপতি
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ার সম্পর্ক কতটা ভয়ঙ্কর মোড় নিতে পারে তা আবার প্রমাণিত হল। দক্ষিণ কলকাতার বুকে এই ঘটনা আবারও কলকাতা নিরাপত্তা ও নজরদারিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এক বছর আগে আরজি করে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ (Rape) ও খুন কাণ্ডের বিচার এখনো অধরা। তার মধ্যে একের পর এক এই ধরনের ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে শহরবাসী।