বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali), সেখানে পুলিশের কার্যহীনতাকে উল্লেখ করে বিজেপি (BJP) নেতারা প্রশাসনকে দলদাস বলে কটাক্ষ করেন। প্রশাসনিক ব্যবস্থার যেভাবে পতন হয়েছে তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। আর সেজন্য থানার ইঁট খুলে নিয়ে মন্দির বানানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখায় উত্তর ২৪ পরগনার বাটার মোড়ে।
বাটার মোড়ে বসেই থানার ইঁট খুলে মন্দির বানানোর কথা ঘোষণা করেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি রাজীব রায় (Rajiv Roy)। আসলে এই ঘটনার শুরু গত ৫ জানুয়ারি। ওইদিন সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে বাংলার শাসকদলের নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে তল্লাশিত চালাতে যায় ED। কিন্তু সেসময় শেখ শাহজাহানের ‘বিশেষ’ অনুগামীদের তাড়ায় পালাতে হয় ED কর্তাদের।
তল্লাশি করতে গিয়ে মাথা ফাটে ED কর্তাদের। আর এর পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান শাহজাহান। তবে সেখানেই ঘটনা ধামাচাপা পড়েনি। বরং ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তে থেকেছে। শাহজাহানকে না পাওয়া যাওযায় এলাকাবাসীর নিশানায় শাহজাহানের ডান হাত শিবু হাজরা এবং বাঁ হাত উত্তম সর্দার। দুই নেতাকে গ্রেফতারের দাবীতে নেমে তাদের বাড়ি ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জনতা।
আরও পড়ুন : সন্দেশখালি যাওয়ার সময় নেই, রিলস বানাতে ব্যস্ত নুসরত! ভাইরাল ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফুঁসছে নেটবাসী
উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু এতে মোটেই খুশি নন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবী শাহজাহান, শিবু হাজরাদেরও গ্রেফতারির। পুলিশ দুই আসামীকে ধরতে না পারলেও গ্রেফতার করে বিজেপির স্থানীয় নেতা বিকাশ সিংহকে। আর তারপরই রোববার পথে নামে বনগাঁ বিজেপি। এদিন বিজেপির যুব মোর্চা বাটার মোড় থেকে যশোর রোড অবরোধ করে। পুলিশের সাথে সামান্য বচসাও চলতে থাকে। আর তারপরই থানা ভেঙ্গে মন্দির বানানোর হুমকি দেন রাজীব।
আরও পড়ুন : KYC নিয়ে নয়া গাইডলাইন RBI-র, এই নির্দেশিকা না মানলেই পড়তে হবে বড় বিপদে
বিজেপি নেতা রাজীবের বক্তব্য, ‘‘সন্দেশখালিতে বর্বরতা চলছে। আমরা কি ২০২৪ সালে বাস করছি? ভারত যেখানে বিশ্বগুরু হয়ে দুনিয়াকে পথ দেখাচ্ছে সেখানে তৃণমূলের পার্টি অফিসে মহিলাদের নির্যাতন করা হচ্ছে! কোন রাজ্যে বাস করছি? এতে সম্পূর্ণ মদত আছে পুলিশ-প্রশাসনের। তাই পুলিশ-প্রশাসনকে বলা, তারা যদি আগামিদিনে পদক্ষেপ না করে, তা হলে যুব মোর্চাই পদক্ষেপ করবে এবং থানা থেকে ইট খুলে নিয়ে এসে আমরা শ্রীকৃষ্ণের মন্দির বানাব।’