বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় বাংলার প্রধান দুই রেল স্টেশন বলতে আমাদের মাথায় আসত হাওড়া ও শিয়ালদার নাম। তবে সময়ের সাথে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কলকাতা স্টেশনও। বর্তমানে এই স্টেশন থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন ছাড়ে। অনেকেই বলেন কলকাতা স্টেশন হল এপার বাংলা ও ওপার বাংলার মিলনস্থল।
কলকাতা স্টেশন সম্ভবত ভারতের একমাত্র স্টেশন যেখান থেকে দুটি আন্তরাষ্ট্রীয় ট্রেন যাত্রা করে। একটি হল মৈত্রী এক্সপ্রেস, যেটি গেদে-দর্শনা হয়ে ঢাকায় যায়। পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত হয়ে খুলনায় যায় অন্যটি। কলকাতা স্টেশনে আন্তরাষ্ট্রীয় ট্রেন চালানোর যথেষ্ট পরিকাঠামো ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব নেই।
আরোও পড়ুন : শ্রবণশক্তিহীন ‘বোবা’ ঈশিতা এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! হার না মানা লড়াই চোখে জল এনে দেবে
এক্সিকিউটিভ ওয়েটিং হল, ফিস পেডিকিওরের সুবিধা সহ লাউঞ্জ স্পা, ফুড কোর্ট স্ন্যাকস কাউন্টার, ওয়াইফাই ইন্টারনেট পরিষেবা, কাস্টম চেকিং-এর মতো আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা উপলব্ধ কলকাতা স্টেশনে। এছাড়াও স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে পার্কিং লট, বাস ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। সড়কপথে কলকাতা স্টেশন থেকে সহজেই কলকাতার যেকোনও প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব।
আরোও পড়ুন : মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিক! ফের ফাঁস প্রশ্নপত্রের ছবি, বাতিল মূলচক্রীর পরীক্ষা
এই স্টেশনে পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। মৈত্রী বা বন্ধন এক্সপ্রেস-এর মতো আন্তর্জাতিক ট্রেন শুধুমাত্র একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েই যাতায়াত করে। কাস্টম চেকিং বা আন্তরাষ্ট্রীয় যাত্রীদের যাওয়া আসার সুবিধার কথা মাথায় রেখে বেছে নেওয়া হয়েছে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মটিকে। ‘অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম’-এর আওতায় সম্প্রতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কলকাতা স্টেশনকে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী দিনে কলকাতা স্টেশনকে শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানাচ্ছেন, সময়ের সাথে কলকাতা স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। যাত্রীদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধাগুলি আগামী দিনে এই স্টেশনকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। বিশেষভাবে উপকৃত হবেন ভারত ও বাংলাদেশের যাত্রীরা।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার