বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bardhaman University) আর্থিক প্রতারণা মামলার শুনানির চলছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। অভিযোগ ছিল বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভেঙে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করা হয়েছে। প্রাক্তন রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রায় ২ কোটি টাকার তছরূপের অভিযোগ। এত কিছুর পরও তাঁকেই ফের দায়িত্বে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে প্রশ্ন বিস্ময় প্রকাশ করল আদালত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাণ্ডে বিস্মিত হাইকোর্ট | Calcutta High Court
মঙ্গলবার এই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সেখানেই বিচারপতির মন্তব্য, “এই সিদ্ধান্তে আমরা অত্যন্ত বিস্মিত।” ঠিক কী কারণে কীভাবে দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত একজনকে পুনরায় নিয়োগ করা হল, সেই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য,”তদন্তাধীন দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি কোনও ব্যক্তিকে ফের পদে বসানো আইনসম্মত নয়।” আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তার একমাসের মধ্যে অর্থাৎ ২৫ অক্টোবরের মধ্যে অন্যান্য পক্ষ পাল্টা জবাব দাখিল করতে পারবে। ৯ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
কী অভিযোগ? বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের যোগসাজশে সেখানে কমপক্ষে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় অভিযোগ ওঠে, এর সাথে জড়িত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সহ আরও একজন। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন রেজিস্ট্রার। শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তকারীরা জানিয়েছিল, প্রায় ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। প্রথমে CID তদন্ত শুরু করলেও প্রাথমিক তদন্তের পর আদালতের নির্দেশে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের তদন্তভার সিআইডি থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে যায়।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের ৫ জন NDA প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন’, রাধাকৃষ্ণণের জয়ের পর বোমা ফাটালেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি
সূত্রের খবর, সেই মামলায় এতদিনে কেবল এক জন গ্রুপ-ডি কর্মী, ভক্ত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন এত ধীরগতির তদন্ত? এদিন এই নিয়েও প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। বিচারপতির মন্তব্য, “তদন্তে এমন শিথিলতা গ্রহণযোগ্য নয়।”