“আমাকে মুক্তি দিন, সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন”, কালো চশমা পড়ে আদালতে দাবি প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর

Published on:

Published on:

Partha Chatterjee seeks relief in SSC scam case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের আদালতে হাজিরা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তবে এদিন তিনি আদালতে হাজিরা দিলেন হাসপাতালে শয্যা অবস্থাতে কালো চশমা পড়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এদিন আদালত হাজিরা দেওয়ার পর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আর্জি জানান যে, তিনি নির্দোষ, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক।

আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে, দাবি পার্থর (Partha Chatterjee)

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে শুনানি চলাকালীন পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবী জানান, এফআইআর বা প্রাথমিক চার্জশিটে তাঁর মক্কেলের নাম ছিল না। সিবিআইয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি তাঁদের। আদালতে নিজেও বক্তব্য রাখতে চান পার্থ। বিচারকের সামনে তিনি বলেন, “আমি শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম, কিন্তু কোনও বেআইনি নিয়োগ করিনি। আমার সামাজিক সম্মান আছে। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।”

পার্থ (Partha Chatterjee) আরও দাবি জানিয়ে বলেন, “আমি যাঁদের নিয়োগ করেছি বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁদের নিয়োগ করেছে এসএসসি। আমি নিয়ম মেনে কাজ করেছি। অন্যরা অন্যায় করলে আমার দায় কীভাবে হতে পারে?” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “যাঁরা সত্যিই বেআইনি কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হচ্ছে না। অথচ আমাকে জেলের অন্ধকারে ফেলে রাখা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ইডির তল্লাশিতে নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন পার্থ (Partha Chatterjee)। পরদিনই তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা ও সোনাদানা। দুই ফ্ল্যাট থেকে নগদে প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং বহু বৈদেশিক মুদ্রা বাজেয়াপ্ত হয়। ইডির দাবি, মোট ৬০ কোটিরও বেশি সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছিল। সেই থেকেই একের পর এক মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর।

Partha Chatterjee seeks relief in SSC scam case

আরও পড়ুনঃ কবে হবে ইন্টারভিউ? চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ TET উত্তীর্ণদের, ধুন্ধুমার ধর্মতলা

বর্তমানে প্রাথমিক থেকে শুরু করে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই একাধিক চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। তবে বৃহস্পতিবার আদালতে তাঁর আবেদন, “আমায় মুক্তি দিন। সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন।” এখন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে আদালত সারা দেয় কিনা সেটাই দেখার।