বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavapur University)। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে ঝিল থেকে উদ্ধার হয় ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের দেহ। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavapur University) ক্যাম্পাসে চলছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঘড়ির কাঁটা ১০ টা পেরোনোর পর অনামিকার দেহ ঝিল থেকে উদ্ধার হওয়ার পর বন্ধ হয় অনুষ্ঠান। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavapur University) সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত।
যাদবপুর ক্যাম্পাসের (Jadavapur University) নিরাপত্তা নিয়ে বিষ্ফোরক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য
এদিন সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই সমস্ত ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছিল। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে কেপিসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তিনি আরও জানান, মৃত ছাত্রীর পরিবার রাতেই এসেছিল। হাসপাতালে ইংরেজি বিভাগের প্রধান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavapur University) অনেকেই ছিলেন।
অনুষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে বিতর্ক: বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান ছিল ড্রামা ক্লাবের। এ বিষয়ে সহ উপাচার্য (Jadavapur University) বলেন, অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল নিশ্চয়ই। তবে অত রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি ছিল না বলেই স্বীকার করে নেন তিনি। যদিও তিনি এও বলেন, বিভিন্ন সময়ে নির্ধারিত সময়ের বাইরেও অনুষ্ঠান চালানোর দরকার পড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে কতক্ষণ পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলেছে, ঘটনার সময় তা চলছিল কিনা তার রিপোর্ট এখনও তাঁর কাছে পৌঁছায়নি বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavapur University) সহ উপাচার্য।
আরও পড়ুন : শহরজুড়ে বন্ধ একাধিক রাস্তা, তৃতীয়া থেকে নবমী পর্যন্ত ভোগান্তি! পুজো প্ল্যানিংয়ের আগে জেনে রাখুন
কতজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন: এই ঘটনার পর আবারও প্রশ্নের মুখে এসে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavapur University) নিরাপত্তা। এ প্রসঙ্গে সহ উপাচার্যের স্বীকারোক্তি, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্টই কম। গত কয়েক বছরে অনেক নিরাপত্তারক্ষী অবসর নিয়েছেন। এখন সীমিত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে চলতে হচ্ছে তাঁদের। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে (Jadavapur University) নজরদারি নিশ্চয়ই থাকে। তবে পেট্রোলিং টিম হয়তো ঘটনার সময় ওই জায়গায় ছিল না।
আরও পড়ুন : ব্লু লাইনে আরও কমল মেট্রো সংখ্যা, পুজোর মুখেই যাত্রীদের আতান্তরে ফেলে ঘোষণা কর্তৃপক্ষের
সহ উপাচার্য জানান, এ বিষয়ে কথা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে তিনটি সিসিটিভি রয়েছে। তবে পুকুরের দিকে মুখ করে কোনো ক্যামেরাই নেই। তাই ওই ছাত্রী কীভাবে জলে পড়লেন তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত। শুক্রবার ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ছাত্রীর দেহ। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। মৃত ছাত্রীর বাবা এদিন সকালে থানায় গিয়েছিলেন। তবে তাঁর পরিবারের তরফেও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই খবর।