বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের বিচার ব্যবস্থায় মাঝে মাঝে অতিরিক্ত সময় লাগার অভিযোগ ওঠে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। অযথা জামিনের আবেদন ফেলে রাখা যাবে না। অপ্রয়োজনীয় ভাবে কাউকে জামিন না দেওয়া অবিচার এবং সেই অভিযুক্তের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করা বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি জামিনের আবেদন শোনার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
জামিনের আবেদন নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
শুক্রবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, কোনও মামলায় জামিনের আবেদন দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখলে তাতে অভিযুক্তের নাগরিক অধিকারকে খর্ব করা হয়।
কী বলেছে শীর্ষ আদালত: এই প্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্টের একটি মামলার উদাহরণ টেনে কটাক্ষ করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বম্বে হাইকোর্টে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে একটি মামলা। বারবার জামিনের আবেদন মুলতুবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলে, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সম্পর্কিত আবেদনগুলি বছরের পর বছর ধরে মুলতুবি করে রাখা যায় না।
আরও পড়ুন : গত চারদিনে দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা! মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ইলিশ, সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন ক্রেতারা
বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়: শীর্ষ আদালত এদিন স্পষ্ট জানায়, জামিনের আবেদন হোক বা অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন, তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শুনতে হবে। শুনানির জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হলে তা একে তো মামলার গতিরোধ করে, উপরন্তু বিচারব্যবস্থার পক্ষেও তা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সংবিধানের ধারা ১৪ অর্থাৎ সমতার অধিকার এবং ২১ অর্থাৎ জীবন এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করা যায় না।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য-জীবন বিমা থেকে সরছে GST, কতটা কমবে প্রিমিয়ামের খরচ?
দেশের সমস্ত হাইকোর্টকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, দুমাসের মধ্যে জামিনের আবেদন নিস্পত্তি করতে হবে। বম্বে হাইকোর্টে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে একটি ঝুলে থাকা মামলার প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৬ বছর পর অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে শুনানি ঝুলিয়ে রাখা এবং নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখলেও দীর্ঘসূত্রিতার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিশানা করে উচ্চ আদালতকে।