বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবসর নিচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম (Justice T. S. Sivagnanam)। ২০২৩ সালের ১১ মে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের ৩৩ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। ২০২৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামীই বিচারপতির কর্মজীবনের মেয়াদ শেষ হবে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার থেকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তথা মাস্টার অফ রস্টার–এর দায়িত্ব সামলাবেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।
দুই নামে চর্চা হাইকোর্টে | Calcutta High Court
শিবজ্ঞানমের পরেই সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে রয়েছেন জাস্টিস সৌমেন সেন (Justice Soumen Sen)। তবে ইতিমধ্যেই তাঁকে মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। যদিও এই নিয়ে আইন মন্ত্রকের তরফে কোনও বিজ্ঞপ্তি আসনি এ পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে তাহলে বিচারপতি সেনই কী মঙ্গলবার থেকে প্রধান বিচারপতি তথা মাস্টার অফ রস্টার–এর দায়িত্ব নেবেন নাকি সিনিয়র বিচারপতি সুজয় পাল (Justice Sujoy Pal) সেই দায়িত্ব সামলাবেন এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আগে থেকেই ঠিক ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ১৫ সেপ্টেম্বর অবসর নেবেন। তাহলে তার পরও কেন তাঁর উত্তরসূরির নাম সুপ্রিম কোর্ট ঠিক করে উঠতে পারল না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে। আইনজীবীমহলের মতে, কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির অবসরের বেশ কিছু দিন আগেই সুপ্রিম কোর্টকে তাঁর উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করে দেওয়ার কথা। কারণ সেই নামে আইন মন্ত্রকের সিলমোহরের ক্ষেত্রেও কিছুটা সময় প্রয়োজন।
এখনও কলকাতা হাইকোর্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আপাতত ভারপ্রাপ্ত বা অ্যাক্টিং প্রধান বিচারপতিই কলকাতা হাইকোর্টে দায়িত্ব সামলাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিচারপতি সেনকে সর্বোচ্চ আদালত মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে সুপারিশ করায় বর্তমানে তার পর সিনিয়র মোস্ট রয়েছেন বিচারপতি সুজয় পাল।
আরও পড়ুন: সাগরে নিম্নচাপ! পুজোর আগে আরও বৃষ্টি বাড়বে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া?
এই অবস্থায় হিসেব মত জাস্টিস পালেরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপাতত দায়িত্ব নেওয়ার কথা। বিচারপতি পালকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট থেকে গত বছর তেলঙ্গানা হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছিল। তারপর চলতি বছর জুলাই মাসে তিঁনি বদলি হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যোগ দেন। যদি তিঁনি অ্যাক্টিং প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান তাহলে তিঁনিই অন্য কোনও হাইকোর্ট থেকে বদলি হয়ে এসে দায়িত্ব নেওয়া প্রথম বাঙালি প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। যদিও সবটাই এখনও জল্পনার পর্যায়ে রয়েছে।