বাংলা হান্ট ডেস্ক : রবিবার সাত সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Massive Fire Break Out) আনন্দপুরের (Anandapur) ঝুপড়িতে। একটার পর একটা বিষ্ফোরণের আওয়াজে কার্যত দিশে হারিয়ে ফেলেছিল এলাকাবাসী। দমকা হওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। তবুও আটকানো যায়নি আগুনের লেলিহান শিখাকে। ভরা বসন্তে নিমেষের মধ্যে ছাই হয়ে যায় আনন্দপুরের ঝুপড়ি। রবিবার ছুটির দিনের সকাল আনন্দপুরের ঝুপড়ির বাসিন্দাদের কাছে কার্যত অভিশাপ।
সূত্রের খবর, এই ঝুপড়িতে কম করে হলেও ৬৮টি ঘর ছিল। যার অধিকাংশই গ্রাস করেছে আগুনের করাল শিখা। সূত্রের খবর, আগুন এত তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে যে, ঘর থেকে কোনওকিছুই বের করে আনতে পারেনি ঝুপড়ির বাসিন্দারা। সর্বস্ব হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে এলাকার মানুষজন। অনদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকল বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেলা এগারোটার কিছু আগেই একটা ঘরে আগুন লেগে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঘরে। ১১টা নাগাদ দমকলে খবর দেওয়া হলে তড়িঘড়ি সেখানে এসে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। ততক্ষণে আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে গেছে। আগুন লাগার সঠিক কারণ না জানা গেলেও, স্থানীয়দের দাবি, ঝুপড়িতে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটছে।
ইতিমধ্যে যে সমস্ত গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত আছে সেগুলির তাপমাত্রা কমিয়ে পাশের খালে ফেলা হয়েছে। ১০টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা। দমকল বিভাগের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আগুন এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। এখন এই মুহূর্তে গরম ছাই বা অন্যান্য পুড়ে যাওয়া সামগ্রী জল দিয়ে ঠান্ডা করার প্রসেস চলছে। কিন্তু যে মুহূর্তে আগুন লাগে সেই মুহূর্তে ভয়াবহ ছিল বেশি। দুপাশ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। দুপাশের আগুন নিয়ন্ত্রণ করার পর বস্তির মধ্যিখানে অংশ জল দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে কুলিং প্রসেস চলছে।’