বাংলা হান্ট ডেস্ক : লাক্ষাদ্বীপে (Lakshadweep) স্নরকেলিং-র রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বারকায় (Dwarka) স্কুবা ডাইভিং-এ (Scuba Diving) মত্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রবিবার গুজরাটের সুদর্শন সেতু উদ্বোধনের পর নমো গেছিলেন দ্বারকায়। আর সেখানেই দেশবাসীকে ফের চমকে দিলেন। পাজামা পাঞ্জাবী পরেই নেমে পড়লেন আরব সাগরে। ৭৩ বছর বয়সেও তিনি যা করলেন তাতে লজ্জা পাবে দেশের তরুণরাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার সকালে গুজরাট সফরে যান নমো। সেখানেই দেশের দীর্ঘতম কেবল ব্রীজ ‘সুদর্শন সেতু’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এখানেই থেমে থাকেনি তার সফরনামা। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে যান ভেট দ্বারকায়। দ্বারকাধীশ মন্দির দর্শনের পর তিনি চলে যান পাঞ্চকুনি সি বিচে। সেখানে কমলা রঙের পাঞ্জাবি পরেই নেমে পড়েন আরব সাগরে। করেন স্কুবা ডাইভিং।
সূত্রের খবর, এইদিন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ট্রেনার এবং নৌসেনাদের একটি দল। তাদের তত্ত্বাবধানেই সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যান নমো। দর্শন করেন দ্বারকার এক প্রাগৈতিহাসিক শহর। এটি সেই শহর যেটি সমুদ্রের নীচে তলিয়ে গেছিল। খানিক প্রার্থনা করার পর উঠে আসেন উপরে।
আরও পড়ুন : নেই কোনও কোচিং, নিজের দমেই UPSC-তে সফল ঝাড়গ্রামের মানস, সর্বভারতীয় ব়্যাঙ্ক জানলে হবেন গর্বিত
দেশের আধ্যাত্মিক এবং ঐতিহাসিক সংযোগের মেলবন্ধন পরিদর্শন করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘জলের তলায় ডুবে যাওয়া দ্বারকা নগরীতে গিয়ে প্রার্থনা করার অভিজ্ঞতা দৈবিক ছিল। একটি আধ্যাত্মিক অনুভূতি হল। শ্বাশত শক্তি এবং প্রাচীন যুগের সান্নিধ্যে আসার এই অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভুলব না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ সকলের মাথায় সর্বদা থাকুক।’
আরও পড়ুন : বয়সে ছোট বর জয়কে নিয়ে খুশি নন লোপামুদ্রা? দ্বিতীয় বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন গায়িকা, তোলপাড় নেটপাড়া
এখানেই শেষ হয়নি তার বর্ণনা। নরেন্দ্র মোদী দ্বারকা সম্পর্কে আরও লেখেন, ‘আমি গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলাম। প্রাগৈতিহাসিক দ্বারগা নগরী দর্শন করেছি। পুরাতত্ত্ববিদেরা বহুবার এই নগরীর কথা উল্লেখ করেছেন। সমুদ্রের নীচে হারিয়ে যাওয়া শ্রীকৃষ্ণের নগরী চোখে দেখার সুযোগ পেলাম আজ। তিনি নিজে হাতে এই নগরী তৈরি করেছিলেন। অসাধারণ শিল্প স্থাপত্য ছিল। আমি দৈব অনুভূতি লাভ করেছি। দ্বারকাধীশের পায়ে নতজানু। আমি সঙ্গে করে একটি ময়ূরের পালক নিয়ে গিয়েছিলাম। ভগবানের চরণে সেটি রেখে এসেছি। বহুদিন থেকেই এই সমুদ্রের নীচের দ্বারকা নগরী দেখার ইচ্ছে ছিল মনে। আজ সেটি দর্শনের পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছি। দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্নপূরণ হল আজ।’
To pray in the city of Dwarka, which is immersed in the waters, was a very divine experience. I felt connected to an ancient era of spiritual grandeur and timeless devotion. May Bhagwan Shri Krishna bless us all. pic.twitter.com/yUO9DJnYWo
— Narendra Modi (@narendramodi) February 25, 2024
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা বরাবরই ধর্মীয় নগরী হিসেবে চিহ্নিত। তবে যেদিন থেকে ভারত সরকারের মেরিন আর্কিওলজি বিভাগ সমুদ্রের নীচে দ্বারকা নগরীর আরও একটা অংশের অস্তিত্বের উল্লেখ করেছে সেদিন থেকেই এটি টুরিস্ট স্পটও হয়ে উঠেছে। সমুদ্রের নীচে পাশাপাশি দু’টি শহরের হদিশ পেয়েছে বিশেষজ্ঞরা। পাঁচ বর্গমাইল জুড়ে থাকা এই দুই শহর যে সত্যিই আকর্ষণের সেকথা বলাই বাহুল্য। এটি যেমন রোমাঞ্চকর তেমনই আধ্যাত্মিকও বটে।