মাত্র ২ লক্ষ টাকায় শুরু স্টার্টআপ! আজ ১৫ টি শহরে ছড়িয়েছে ব্যবসা, অবাক করবে বিনীতের কাহিনি

Published on:

Published on:

Success Story of Vineet Asthana will surprise you.

বাংলাহান্ট ডেস্ক: যে মানুষ নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যায়, সে কোনও না কোনও দিন সাফল্যের (Success Story) শিখরে পৌঁছবেই। এমন উদাহরণই গড়েছেন উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরের বাসিন্দা বিনীত আস্থানা। সাধারণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা এই মানুষ আজ ইলেকট্রিক ভেহিকল (EV) খাতে এক সফল স্টার্ট-আপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর কোম্পানি ইজি চার্জ (EzyCharge) ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন এবং তার সফটওয়্যার তৈরির কাজ করছে, যা ভবিষ্যতের টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

বিনীত আস্থানার সাফল্যের গল্প (Success Story):

বর্তমানে ৪৫ বছর বয়সি বিনীত আস্থানা পড়াশোনা ও চাকরির সূত্রে ১৯৯৭ সালে কানপুর থেকে দিল্লিতে আসেন। তাঁর পরিবার ছিল নিম্ন মধ্যবিত্ত। অল্প বয়সেই তিনি স্থির করেছিলেন বড় শহরে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন। বাবা-মায়ের উৎসাহেই তিনিই পরিবারের প্রথম ব্যক্তি যিনি এত দূরে গিয়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন (Success Story)।

আরও পড়ুন: বারংবার রক্তচক্ষু আমেরিকার! এবার ভারতের দিকে হাত বাড়িয়ে বড় “অফার” দিল এই দেশ

২০০০ সালে তিনি কর্পোরেট দুনিয়ায় প্রবেশ করেন। এরপর দিল্লি-এনসিআরের নানা শহরে থেকে একে একে রিলায়েন্স কমিউনিকেশন, এইচসিএল, স্মার্ট ডিজি ভিশন, ইনফোটেল, ব্রডব্যান্ড এবং একজিকমের মতো নামী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এই দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি টেকনোলজি, ব্যবসা ও সফটওয়্যার নিয়ে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ধীরে ধীরে তাঁর ঝোঁক বাড়তে থাকে ইলেকট্রিক ভেহিকল খাতের দিকে। তিনি বুঝতে পারেন, ভবিষ্যতের পরিবহণ ব্যবস্থা এই খাতের উপর নির্ভর করবে (Success Story)।

অবশেষে নিজের অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি গড়ে তোলেন ইজি চার্জ। কোম্পানিটি আজ ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডেভেলপ করছে। তাঁর লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সাফল্য নয়, বরং ভারতের ইভি খাতকে আরও শক্তিশালী করে তোলা, যাতে ভবিষ্যতে দেশ সবুজ শক্তির পথে আরও এগোতে পারে (Success Story)।

Success Story of Vineet Asthana will surprise you.

আরও পড়ুন: ঘনিয়ে আসছে বিপদ? আচমকাই জেগে উঠল ভারতের একমাত্র আগ্নেয়গিরি, দেখুন ভিডিও

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিনীত জানান, তাঁর যাত্রাপথ কখনও সহজ ছিল না। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসায় নানা সীমাবদ্ধতা ছিল, তবে আত্মবিশ্বাস এবং অবিরাম চেষ্টাই তাঁকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, যদি কারও কাছে একটি কার্যকর আইডিয়া থাকে এবং তা বাস্তবায়নের সঠিক কৌশল জানা থাকে, তবে পরিবেশ বা চ্যালেঞ্জ কোনও বাধাই হতে পারে না (Success Story)।

আজ তাঁর সাফল্যের গল্প (Success Story) অসংখ্য তরুণ-তরুণীর কাছে অনুপ্রেরণা। একদিকে তিনি দেখাচ্ছেন কীভাবে কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়, অন্যদিকে প্রমাণ করছেন ভারতের ইভি শিল্প বিশ্বদরবারে নিজেদের অবস্থান মজবুত করছে। বিনীত আস্থানা আজ শুধু এক স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তা নন, বরং চেষ্টা ও অধ্যবসায়ের এক জীবন্ত প্রতীক।