সর্ষের মধ্যেই ভূত! পহেলগাঁও কাণ্ডে জঙ্গিদের মদত দেওয়া যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশ পহেলগাঁও হামলার তদন্তে বড় সাফল্য অর্জন করল। চলতি বছরের ২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওতে আচমকাই নৃশংস হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। সেখানে আগত পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে তাদের ওপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেই জঙ্গিদের লজিস্টিক সহায়তা প্রদানকারী এক স্থানীয় যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ কাটারি। তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে এবং বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে ধৃত যুবক (Jammu and Kashmir)

পুলিশ সূত্রে খবর, গত জুলাই মাসে চালানো হয়েছিল অপারেশন মহাদেব। সেই অভিযানে সেনারা উদ্ধার করেছিল প্রচুর অস্ত্র ও সরঞ্জাম। পরবর্তী সময়ে ফরেনসিক বিশ্লেষণে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় কাটারিকে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, তাঁর সহায়তা ছাড়া জঙ্গিদের এত বড়সড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল না (Jammu and Kashmir)।

আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন সম্পর্কে গলছে বরফ? টানাপোড়েনের মাঝেই মোদী-ট্রাম্প বৈঠক! বড় ইঙ্গিত মার্কিন শীর্ষ কর্তার

উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ভারতীয় সেনা গত জুলাইয়ের শেষ দিকে খতম করে দেয়। ওই জঙ্গি দলে অন্যতম ছিল সুলেমান শাহ। আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এলিট ইউনিটের কমান্ডো ছিল সে। পরবর্তীতে হাফিজ সইদের সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। অপারেশন মহাদেবেই তাকে নিস্তেজ করে ভারতীয় বাহিনী (Jammu and Kashmir)।

তদন্তে উঠে এসেছে, জঙ্গিরা জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার সময় টি৮২ আল্ট্রাস্যাট কমিউনিকেশন ডিভাইস ব্যবহার করেছিল। এই স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ রাখত। ওই যন্ত্র থেকেই সেনা তাদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পায়। এরপরই সেনাবাহিনী নজরদারি শুরু করে। পরিকল্পনা ছিল, জঙ্গিরা যখন কৌশলগতভাবে দুর্বল জায়গায় যাবে, তখনই হামলা চালানো হবে (Jammu and Kashmir)।

Jammu and Kashmir police state a boy in Pahalgam case

আরও পড়ুন:‘একবার গোত্রান্তর হয়ে গেলে…’, নিঃসন্তান হিন্দু বিধবা মহিলার মৃত্যুর পর সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বড় মন্তব্য শীর্ষ আদালতের

২৮ জুলাই সকালে ড্রোনের মাধ্যমে জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করে সেনা। সকাল ৮টার কিছু পরই রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও প্যারা স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোরা মহাদেব পাহাড়ে অগ্রসর হতে শুরু করেন। আধ ঘণ্টার মধ্যেই সন্ত্রাসীদের অবস্থান চিহ্নিত হয়। সকাল ১১টার দিকে গুলি চালায় সেনা। মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যেই প্রথম জঙ্গি খতম হয়। এরপর দুই কিলোমিটার এলাকা ঘিরে ফেলে সেনারা তল্লাশি চালায় এবং এক ঘণ্টার মধ্যে আরও দুই জঙ্গিকে মেরে ফেলে (Jammu and Kashmir)।

এই অভিযানে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টা পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধৃত মহম্মদ কাটারির গ্রেফতারি নিঃসন্দেহে তদন্তে আরও অগ্রগতি আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই গ্রেফতার শুধু হামলাকারীদের নেটওয়ার্ক ভাঙার ক্ষেত্রেই নয়, ভবিষ্যতে এমন পরিকল্পনা বানচাল করার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নেবে (Jammu and Kashmir)।