স্থগিতাদেশের আর্জিও খারিজ, পুশব্যাক মামলায় আদালতে হোঁচট খেল কেন্দ্র সরকার

Published on:

Published on:

Calcutta High Court Strikes Down central Deportation Order of Birbhum Migrant Family

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে কার্যত ‘অবৈধ’ ঘোষণা করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি সহ বীরভূমের পাইকরের কয়েকজন বাসিন্দাকে বাংলাদেশে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহের কোনও ভিত্তি নেই। ফলে চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ফের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

কেবল ভাষা বা চেহারার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যায় না, জানাল আদালত (Calcutta High Court)

হাই কোর্টের (Calcutta High Court)বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ রায়ে জানায়, বাংলাদেশি সন্দেহে বীরভূমের মানুষদের বিতাড়নের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল। কেবল ভাষা বা চেহারার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যায় না। তাই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ আইনসঙ্গত নয় বলেই স্পষ্ট করে দিল আদালত।

এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার আদালতের কাছে আর্জি জানিয়ে বলে যে, নির্দেশ কার্যকরের ওপর অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ করে দিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এরফলে কেন্দ্রকে বাধ্যতামূলকভাবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে দেশের নানা প্রান্তে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, এদের মধ্যে অনেকেই আসলে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক। বাংলায় কথা বললেই বহু ক্ষেত্রে তাঁদের আটক করছে স্থানীয় পুলিশ।

Calcutta High Court Strikes Down central Deportation Order of Birbhum Migrant Family

আরও পড়ুনঃ ভোটগণনায় বড় বদল, আগে পোস্টাল ব্যালট, পরে ইভিএম গণনার সিদ্ধান্ত কমিশনের

এই ইস্যুতেই প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) এবং পরে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা হয়। হাই কোর্টে শুনানির সময় উঠে আসে, ভিনরাজ্যে গিয়ে বাংলার শ্রমিকেরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। বহু ক্ষেত্রে তাঁদের নাগরিকত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করে আটক করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই এবার বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।