বাংলাহান্ট ডেস্ক : উৎসব শেষেই ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম এবং উত্তরবঙ্গ। গত তিন দিন ধরে একটানা বৃষ্টিতে আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং সহ প্রায় সব জেলাতেই বানভাসি পরিস্থিতি। একের পর এক জায়গায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
অতিবৃষ্টিতে বানভাসি উত্তরবঙ্গ (North Bengal)
মূলত পাহাড়ি এলাকাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে মাটি আলগা হয়ে শনিবার রাত থেকেই শুরু হয় ভূমিধস। নদীর স্রোতের মতো বয়ে চলেছে কাদা জল। দুয়ের জেরে এখনও পর্যন্ত বহু বাসিন্দার (North Bengal) মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়েছিল আগেই। জিটিএ সূত্রে পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিপদসীমার উপরে সমস্ত নদী: জানা যাচ্ছে, মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি মিরিকে। এখনও পর্যন্ত যতজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে খবর। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের (North Bengal) প্রায় সব নদীগুলিই বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। ইথিমধ্যে দার্জিলিংয়ের দুধিয়া ব্রিজের পিলারে দেখা দিয়েছে ফাটল। ভেঙেছে বিজনবাড়ি সেতুও। মিরিক, ঋষিখোলার মতো এলাকার সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : ট্রাক-লরি নয়, টয়ট্রেনে চেপে কৈলাশে পাড়ি দিলেন মা দুর্গা! অভিনব উদ্যোগ দার্জিলিংয়ে
ধস নেমে বন্ধ যোগাযোগ: ধস নেমেছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিংয়ের (North Bengal) রোহিনী রোডে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই রোড। উত্তর সিকিমের লাচুংয়ের সঙ্গেও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেখানে বহু পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে খবর। এদিকে প্রশাসন জানিয়েছে, নাগরাকাটার পরিস্থিতি রীতিমতো খারাপ। বানভাসি নাগরাকাটা থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : গোপনেই হল আংটি বদল, বিয়ের তারিখও চূড়ান্ত! কবে সাত পাক ঘুরছেন বিজয়-রশ্মিকা?
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ রাতে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ভুটানের জলের চাপে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তেমনটা হলে যে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হবে তেমনটা ভেবেই বাড়ছে চিন্তা।