ভারতের বিরুদ্ধে নয়া চাল? পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশের দরজা খুলে দিলেন ইউনূস

Published on:

Published on:

Is Bangladesh-Pakistan bond getting stronger?

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh-Pakistan) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনূসের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হচ্ছে—এমনই দাবি উঠেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের বারবার ঢাকা সফর সেই অভিযোগকেই আরও জোরদার করছে। এ বার খবর, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আগামী ৬ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছতে চলেছে।

আরও মজবুত বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্ব? (Bangladesh-Pakistan)

নর্থ ইস্ট নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের যৌথ স্টাফ প্রধান দফতরের (Joint Staff Headquarters) ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল তাবাস্সুম হাবিব এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। দলের সঙ্গে থাকবেন পাকিস্তান নৌসেনার এক কমোডর পদমর্যাদার অফিসার এবং সেনাবাহিনীর একজন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাবিব বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির চকলালা অঞ্চলে অবস্থিত যৌথ স্টাফ সদর দফতরে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশ (Bangladesh-Pakistan) সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (AFD) আমন্ত্রণে এই সফরে আসছেন।

আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, পুজো কার্নিভালে “ব্যস্ত” মুখ্যমন্ত্রী! গুরু দায়িত্ব পেতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর বিপ্লব দেব

উল্লেখযোগ্যভাবে, এএফডি মূলত বাংলাদেশের (Bangladesh-Pakistan) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করে। এটি বাংলাদেশের তিন বাহিনীর (সেনা, নৌ, বিমান) যৌথ সমন্বয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এটি একটি সম্মিলিত কমান্ড সেন্টারের দায়িত্ব পালন করে।নর্থ ইস্ট নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের সফরের পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল গত মাসেই। এএফডির অপারেশন ও পরিকল্পনা দফতর তখন এক চিঠি জারি করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাবিবকে আতিথ্য জানানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সফরটিকে “সদ্ভাবনামূলক সফর” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।

সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাবিব বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও সূত্রের খবর। যদিও তিনি বাংলাদেশের (Bangladesh-Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে আলাদা করে সাক্ষাৎ করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Is Bangladesh-Pakistan bond getting stronger?

আরও পড়ুন:বিগত ৭ বছরে কতটা বেড়েছে ভারতীয়দের বেতন! রিপোর্টে মিলল অবাক করা তথ্য

মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের (Bangladesh-Pakistan) সামরিক সম্পর্ক দ্রুত উন্নতির দিকে যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এক সামরিক প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল। এরপর পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক মেজর জেনারেল নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। তারা বাংলাদেশের কয়েকটি সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শনও করেছিল। গত কয়েক মাসে পাকিস্তান সেনার আরও দুটি প্রতিনিধি দল নীরবে বাংলাদেশ সফর করেছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ইউনূস সরকারের সময়কালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা যোগাযোগ যে আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে, এই সফর তারই আরেকটি স্পষ্ট প্রমাণ।