বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গে ধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩। মিরিক, নাগরাকাটা এলাকা থেকে একাধিক দেহ উদ্ধার হচ্ছে। বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা নিজেদের বেতন থেকে তহবিল তৈরি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখে তিনি রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
আদালতে যাওয়ার হুশিয়ারি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
সোমবার নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় আজ বিকেল পর্যন্ত কাউকে না ধরলে, আমরা কাল কলকাতা হাইকোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চে যাব।” তিনি আরও বলেন, “ত্রাণ দিতে গিয়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, এটা লজ্জার। হামলাকারীদের মুখ দেখা যাচ্ছে ক্যামেরায়, তবুও গ্রেপ্তার শূন্য!”
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) edin আরও বলেন, “এটা রাজনীতি করার সময় নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বন্যা ও ধসের পরিস্থিতিতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।” উল্লেখ্য, বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, নাগরাকাটা হামলায় মোট ৮ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে আটক করেনি পুলিশ। এই নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভের আগেই জল নিয়ন্ত্রণ DVC-র, কেন?
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “পুলিশ এখন বন্যা সামলাতে ব্যস্ত। পরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে বিজেপির অভিযোগ, একজন সাংসদের উপর প্রকাশ্যে হামলা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও রাজ্য বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।