বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছন্নবিছন্ন উত্তরবঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে ফের বৈষম্যের অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বিপর্যয়ের মধ্যেও বাগডোগরা থেকে বিমানের যে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, তা কি ন্যায্য? ছটপুজোর সময় যেখানে বিমান ভাড়ায় বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই সময় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ থেকে বিমানের ভাড়া কেন এত বেশি?
উত্তরবঙ্গে বিমান ভাড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা (Mamata Banerjee)
উত্তরবঙ্গে বিমানের ভাড়া নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে মমতাকে (Mamata Banerjee) বলতে শোনা যায়, “বিহারে নির্বাচন আছে বলে ছটপুজোতে বিমানের ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই সময় বিমানের ভাড়া বাড়ানো যাবে না। এটায় আমি খুশি। কোনও দুঃখ নেই। কারণ আমার এখানেও ছটপুজো হয়। কিন্তু একটা দুর্ভোগ, দুর্যোগ হয়ে যাওয়ার পর, বাগডোগরা থেকে কলকাতায় ফেরার ভাড়া কেন ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হল বলতে পারেন?” এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার বন্যার টাকা নেই কেন সেই প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তোলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আরও বলেন যে, “আর যারা বিমান পাচ্ছেন না, যারা কলকাতা থেকে ঘুরে দিল্লি হয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের খরচ হচ্ছে প্রায় ৪২ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ভাবতে পারেন? এটা কি বৈষম্য নয়? বাইরের মানুষ যাঁরা এসেছিলেন, ফিরে যাচ্ছেন। যারা বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরছেন। আমি পর্যটকদের ভলভো বাসে নিয়ে এসেছি। তাঁরা সকলেই নিরাপদ। যারা থাকতে চান, তাঁদের খেয়ালও রাখা হচ্ছে। প্রায় ১০০০ পর্যটককে ৪৫টি ভলভো বাসে এবং নর্থ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট বাসে চাপিয়ে আমরা ফিরিয়ে এনেছি, যাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয়।”
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। রোহিণীর ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ২টি বিকল্প রাস্তা বের করা হয়েছে, এবং নাগরাকাটায় ব্রিজ সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জানান মিরিকের জন্য পাকা ব্রিজ তৈরি হওয়া পর্যন্ত একটি বিকল্প পাইপ ব্রিজ তৈরি করা হবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ OBC সংরক্ষণ মামলায় নতুন মোড়, শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, আপাতত বিপর্যয় পরিস্থিতি দেখে ফিরে এলেও, আগামী সপ্তাহে তিনি পুনরায় উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব ত্রাণকার্য সম্পন্ন হয়েছে, তবে চাকরি সংক্রান্ত কাজগুলি এখনও বাকি রয়েছে। আজ ভরা কোটালের কারণে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আবেদনও জানিয়েছেন। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় বনবিভাগ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা সেখানে মোতায়েন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।