বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) নেতৃত্বে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবার মেয়েদের নিয়ে বিশেষ একটি বাহিনী গঠন করেছে—ঘোষণায় বলা হয়েছে এটি ‘জামাত-উল-মোমিনাত’ নামে পরিচিত হবে এবং বাহিনীর প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে মাসুদের বোন সাদিয়া আজহারকে। এই নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে গুরুতর সতর্কতা জারি করা হয়েছে, কারণ অপারেশন সিঁদুরের পরে জইশ কেবল হার মেনেই বসে থাকেনি, বরং সংগঠন পুনর্গঠন ও বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেছে।
কাশ্মিরী মহিলাদের টার্গেট মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) জঙ্গি সংগঠনের
এই উদ্বোধনী ঘোষণাটি বাহাওয়ালপুর থেকে করা হয়েছে—সেখানে ঐ সময় ভারতের বিমান বাহিনীর কার্যবহুল আঘাত জইশের (Masood Azhar) মূল ঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষতি করেছিল বলে দাবি করা হয়। সূত্রে বলা হয়েছে, ঘোষণার সময় এসব তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়েছে যে নতুন মহিলা বাহিনী গঠনের প্রথম কেন্দ্রটি মূল সদর দফতর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অন্য একটি স্থানে তৈরি হবে। তাতেই ইঙ্গিত মেলে যে জইশ এখন পুরনো ঘাঁটি বদলে নতুন ঠিকানায় নিজেদের কার্যক্রম চালানো শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:শহরজীবনের কোলাহল ভুলে শরতের শেষে ছুটে যান প্রকৃতির ৩ শান্ত পরিবেশে
জইশের (Masood Azhar) এই কৌশল পরিবর্তন ও মেয়েদের সক্রিয়তায় প্রবেশ—সবই ইঙ্গিত দেয় যে সংগঠন শুধু অস্ত্র-প্রশিক্ষণে সীমাবদ্ধ নয়; সামাজিক মাধ্যম, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে ভারতীয় কাশ্মীরের মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে খবরে উল্লেখ আছে। সুরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, নারী সদস্যদের ব্যবহৃত তথ্য সংগ্রহ, স্থানীয় সমর্থন তৈরি ও সম্ভাব্য গোলযোগ সৃষ্টি উভয়েরই কাজে লাগতে পারে।
এদিকে জইশের (Masood Azhar) ভিতরে পরিচালনাগত বদল এবং অর্থসংগ্রহ শুরু করার খবরও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে; অপারেশন সিঁদুরের পরে পুনর্গঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও সদর দফতর পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা চলমান বলে কিছু রিপোর্ট জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা মহলকে এই নতুন পরিস্থিতি মাথায় রেখে সজাগ থাকতে বলা হচ্ছে—কারণ সংগঠনের কার্যকর পুনরুজ্জীবিত হলে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর জন্য তা সরাসরি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: ২৬০০০ ইস্যু: চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের, প্রকাশ হল বিজ্ঞপ্তি
সরকারি ও নিরাপত্তা সূত্রে আশা করা যাচ্ছে, গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো স্থানীয় স্তর থেকে অনলাইন পর্যবদ্ধতা পর্যন্ত নজরদারি বাড়াবে এবং সম্ভাব্য আবহে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। জনসাধারণকেও সন্দেহভাজন অনলাইন যোগাযোগ ও অপ্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠী-প্রলোভন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই আবহে মাসুদের (Masood Azhar) পরবর্তী পদক্ষেপ কি সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।