কয়েক হাজার কোটির আর্থিক জালিয়াতি! আম্বানির ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে গ্রেফতার করল ED

Published on:

Published on:

ED arrests Ambani's aide in money laundering case.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ফের বড়সড় আর্থিক তছরুপের অভিযোগ (Money Laundering)। আর এই দুর্নীতির অভিযোগে এবার ইডিআরও হতে গ্রেফতার হলেন রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেডের উচ্চপদস্থ আধিকারিক তথা অনিল অম্বানীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অশোক কুমার পাল। অভিযোগ উঠেছে, রিলায়েন্স গ্রুপের একাধিক সংস্থা মিলে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ করেছে। এই বিপুল অর্থ আত্মসাতের মামলাতেই ইডির ফাঁদে পড়লেন অশোক পাল।

কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের (Money Laundering) অভিযোগ আম্বানি ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে

ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক তছরুপ (Money Laundering) প্রতিরোধ আইনের আওতায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অশোক কুমার পাল পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এবং দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আর্থিক খাতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি গত সাত বছর ধরে রিলায়েন্স পাওয়ারের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (CFO) পদে ছিলেন।

আরও পড়ুন:এখনও আকাশছোঁয়া দাম, এবার বাজার থেকে হারিয়েই যাবে ইলিশ! বড়সড় আশঙ্কা মৎস্যজীবীদের

অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে অনিল আম্বানির সংস্থা ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ঋণের বিপরীতে কোনও যথাযথ নথি বা জামানত ছিল না। পরে আরও গুরুতর অভিযোগ ওঠে— রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার-সহ একাধিক সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার তছরুপ হয়েছে। অর্থাৎ, মোট ১৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতির (Money Laundering) অভিযোগে নাম জড়িয়েছে সংস্থার। ইডির আরও অভিযোগ, একই ঠিকানা, একই পরিচালক এবং ভুয়ো নথি ব্যবহার করে বিভিন্ন সংস্থার নামে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, এই ঋণের একটি বড় অংশ প্রকল্প বা ব্যবসায়িক কাজে না লাগিয়ে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তে অনিল আম্বানিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। চলতি বছরের আগস্টে তাঁকে টানা ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করা হয়।

উল্লেখ্য যে, এই মামলায় এর আগে ইডি গ্রেফতার করেছিল পার্থ সারথী বিসওয়ালকে, যিনি বিসওয়াল ট্রেডলিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। অভিযোগ, রিলায়েন্স পাওয়ারের পক্ষে তিনি প্রায় ৬৮.২ কোটি টাকার ভুয়ো গ্যারান্টি দিয়েছিলেন। ইডির মতে, এই গ্যারান্টি ছিল ঋণ অনুমোদনের অন্যতম ভিত্তি। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই উঠে আসে রিলায়েন্স পাওয়ারের আর্থিক অনিয়মের (Money Laundering) চিত্র।

ED arrests Ambani's aide in money laundering case.

আরও পড়ুন: নয়া নিয়ম! অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর, পেনশন সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি

অর্থনৈতিক অপরাধ দমন সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই আর্থিক তছরুপের (Money Laundering) ঘটনায় আরও বহু কর্তা ও সংস্থা জড়িত থাকতে পারে। তদন্তে নথি ও লেনদেনের খতিয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি ইতিমধ্যেই অশোক কুমার পালকে আদালতে পেশ করেছে এবং তাঁর হেফাজত চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।

এই ঘটনার পর অনিল আম্বানির বিপদ আরও বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এক সময় ভারতের ধনীতম শিল্পপতিদের তালিকায় থাকা অনিল আম্বানি এখন একাধিক ঋণ ও আর্থিক অনিয়ম মামলায় তদন্তের মুখে। রিলায়েন্স গ্রুপের আর্থিক সাম্রাজ্য (Money Laundering) নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।